তুরস্ক-গ্রিস উত্তেজনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়েব এরদোগান। তিনি বলেন, এমন আচরণে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। সিএনএন তুর্কিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, ন্যাটোভুক্ত সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। ওয়াশিংটন সাইপ্রাসের নিরস্ত্রীকৃত দ্বীপে রণতরী পাঠাচ্ছে, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এরদোগান বলেন, গ্রিস ও তুরস্ক উভয়ই ন্যাটোর সদস্য। জোটে সহযোগিতার দিক দিয়ে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে তুরস্ক। ন্যাটো সদস্য হিসেবে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ভেবে দেখা উচিত, তারা আঙ্কারার মতো কোনো বন্ধু পাবে না।
বিজ্ঞাপন
এরদোগান আশাপ্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিসের ভুল কাজকে সমর্থন করবে না এবং কোনোভাবে আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাবে না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সাইপ্রাস দ্বীপ অঞ্চলে গ্রিক প্রশাসনের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেন এরদোগান।
তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের ‘কড়া জবাব দেওয়া হবে’ এবং সাইপ্রাস দ্বীপ অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য তুরস্ক প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্রিসের দ্বীপ লেসবোসের দিকে ২৩ ট্রাক্টিকাল অস্ত্রে সজ্জিত একটি রণতরী এবং সামোসের দিকে ১৮ ট্রাক্টিকাল অস্ত্রে সজ্জিত একটি রণতরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলেক্সজান্দ্রপলি বন্দরের দিকে পাঠানো হয়। সূত্রের তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে অস্ত্রগুলো দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ন্যাটোভুক্ত দেশটির এমন আগ্রাসী কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর এমন আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ‘কখনও গ্রহণযোগ্য’ হবে না বলে তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তুরস্ক।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
