শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সুইজারল্যান্ডে গণভোট, বাড়ল নারীদের অবসরের বয়স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০৩ এএম

শেয়ার করুন:

সুইজারল্যান্ডে গণভোট, বাড়ল নারীদের অবসরের বয়স

নারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাবে নিয়ে গণভোটে সুইজারল্যান্ডের মানুষ সায় দিয়েছে। এর ফলে তাদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়ল।

সুইজারল্যান্ডে পুরুষদের অবসরের বয়স হলো ৬৫ বছর এবং এতদিন মেয়েদের অবসরের বয়স ছিল ৬৪। সরকার নতুন পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা আনতে চলেছে। সেখানে মেয়েদের অবসরের বয়স ৬৫ করতে চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়েই গণভোট ছিল। খুবই ক্ষীণ ব্যবধানে সরকারের প্রস্তাব জয়ী হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের


বিজ্ঞাপন


তবে আরেকটি বিষয় নিয়েও গণভোট হয়েছিল। পশুপালন নিয়ে কড়া বিধি চালুর প্রস্তাব গণভোটে খারিজ হয়ে গেছে। সুইস সরকারের দেয়া তথ্য বলছে, ৫০ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ পেনশন প্ল্যানে পরিবর্তন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর ফলে মেয়েদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়বে।

এর আগেও ২০১৪ ও ২০১৭-তে সরকার মেয়েদের অবসরের বয়স বাড়াতে চেয়ে গণভোট নিয়েছিল। কিন্তু দুইবারই তা খারিজ হয়ে যায়। এবার খুবই সামান্য ব্যবধানে তা অনুমোদিত হয়েছে।

ট্রেড ইউনিয়ন, বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলি এই পরিকল্পনার বিরোধী ছিল। তাদের যুক্তি ছিল, মেয়েরা চাকরিক্ষেত্রে ভয়ংকর বৈষম্যের শিকার। তারা পুরুষদের থেকে কম বেতন পান। তাদের পেনশনের পরিমাণ অনেক কম।

সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব হলো, মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম পেনশন পান। এই হিসাব ২০২০ সালের।


বিজ্ঞাপন


এই গণভোটের আগে নেয়া সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ পুরুষ পেনশন সংস্কারের পক্ষে। কিন্তু ৪২ শতাংশ নারী এই সংস্কারের পক্ষে ছিলেন না। সুইজারল্যান্ডের জার্মানভাষী অংশ মেয়েদের অবসরের বয়স বাড়ানোর পক্ষে রায় দিয়েছে এবং দেশের পশ্চিমের ফরাসিভাষীরা এর বিপক্ষে ছিলেন।

এই সংস্কার চালু করার জন্য বিক্রয়কর বাড়ানোর প্রস্তাবে ৫৫ শতাংশ মানুষ সায় দিয়েছেন। পশুপালনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করার প্রস্তাবে মাত্র ৩৭ শতাংশ সায় দিয়েছেন। বাকিরা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে এই প্রস্তাব কার্যকর হচ্ছে না।

সরকারও এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল না। তাদের আশঙ্কা ছিল, এই ব্যবস্থা নিলে দাম বাড়বে। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডে পশুকল্যাণ আইন খুবই কড়া। এর উপর আরো কড়া আইন করলে পশু আমদানি করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হত।

তবে পশুঅধিকার রক্ষা কর্মীরা এবং পরিবেশবিদরা এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু যাদের পশু আছে তারা কড়া আইনের বিপক্ষে ছিলেন। পশুঅধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের দাবি, গণভোটে হেরে গেলেও বিষয়টি নিয়ে যে সচেতনতা বেড়েছে, তাতেই তারা খুশি।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর