সামরিক শক্তি: চীন বনাম তাইওয়ান

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ১৯৪৯ সাল থেকে। এরপর থেকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চীন তার সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করছে। অপরদিকে তাইওয়ানে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, চীন ও তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা।
জনসংখ্যার নিরিখে
চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ। তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র দু’কোটি ৩৬ লাখ। জনসংখ্যার বিচারে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না।
প্রতিরক্ষা বাজেট
২০২২ সালে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার-এর হিসাব অনুসারে, সামরিক খাতে চীন বিপুল খরচ করে। খুব কম দেশই এতটা খরচ করে বা করতে পারে। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৩ হাজার কোটি ডলার। সেই তুলনায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট এক হাজার ৬৮০ কোটি ডলার।
সেনার সংখ্যা
চীনের সক্রিয় সেনার সংখ্যা ২০ লাখ। আর তাইওয়ানের এক লাখ ৭০ হাজার মাত্র। ফলে সেনাসংখ্যার হিসাবেও চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনা চলে না।
কার কাছে কত ট্যাঙ্ক
চীনের কাছে আছে পাঁচ হাজার ২৫০টি ট্যাঙ্ক। আর তাইওয়ানের কাছে এক হাজার ১১০টি। ফলে তুলনাটি অসম।
যুদ্ধবিমানের সংখ্যা
চীনের কাছে তিন হাজার ২৮৫টি যুদ্ধবিমান আছে। তাইওয়ানের কাছে আছে মাত্র ৭৪১টি। তবে তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
নৌবহরের সংখ্যা
চীনের নৌবহর ৭৭৭টি। তাইওয়ানের মাত্র ১৭৭টি।
পরমাণুবোমা
আড়াইশর মতো পারমাণবিক বোমা আছে চীনের কাছে। রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়াচ্ছে। স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে এসব বোমা ছোঁড়া সম্ভব। অপরদিকে তাইওয়ানের কোনো পারমাণবিক বোমা নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরে কে কত খরচ করে
ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার-২০২১ অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ৮০ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তারা ২৯ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। তাইওয়ান সেখানে খরচ করে এক হাজার তিন শ’ কোটি ডলার। তবে তারা সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের থেকে বেশি অর্থ খরচ করে।
সূত্র : গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার, ডয়চে ভেলে
এমইউ