শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রুশ-মার্কিন পরমাণু যুদ্ধে দুর্ভিক্ষে মরবে ৫০০ কোটি মানুষ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৩:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

রুশ-মার্কিন পরমাণু যুদ্ধে দুর্ভিক্ষে মরবে ৫০০ কোটি মানুষ 
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। এ সময় বিশ্ব জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধায় মারা যাবে। একটি নতুন সমীক্ষায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই সমীক্ষা বা গবেষণার বিবরণে বলা হয়েছে যে একটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে কালো আবরণ পড়বে। এর ফলে সূর্যালোক ভূ-পৃষ্টে পৌঁছাবে না এবং খাদ্য উৎপাদন সীমিত হয়ে যাবে। এর ফলে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ মারা যাবে। 


বিজ্ঞাপন


যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় জানা গেছে যে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এমন প্রবল হতে পারে। 

এতে পূর্ণাঙ্গ রুশ-মার্কিন পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাব্য ছয়টি দৃশ্যকল্প এঁকেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে কী ঘটবে সে সম্পর্কে তারা বলেছেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি পুরোমাত্রার পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে এই বিশ্ব মানবতার অর্ধেকের বেশি মানুষ একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।

নেচার ফুড সাময়িকীতে মার্কিন ব্জ্ঞিানীদের গবেষণায় এমন ফল প্রকাশিত হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণের কারণে বায়ুমন্ডলে কী পরিমাণ তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা প্রবেশ করতে পারে, ওই হিসেব-নিকেশ করে প্রাণহানির ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা পূর্বানুমাণ করেছেন। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা কাজে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণা কেন্দ্রের তৈরি জলবায়ু পূর্বাভাসের কাজে ব্যবহৃত একটি যন্ত্রের ব্যবহার করেছেন।

এমনকি তুলনামূলক ছোট-মাত্রার একটি পারমাণবিক সংঘাত হলেও তা বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদনে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝেও যদি স্থানীয় পর্যায়ে একটি পারমাণবিক সংঘাত ছড়িয়ে যায়, তাহলেও পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রায় ৭ শতাংশ হ্রাস পাবে।


বিজ্ঞাপন


তবে রুশ-মার্কিন পারমাণবিক সংঘাতে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন পরবর্তী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কমে যাবে।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত ফসল অথবা খাদ্যের বর্জ্য হ্রাস করা হলে তা সংঘাতের ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা পুষিয়ে উঠতে হয়তো সহায়তা করবে। কিন্তু বৃহৎ আকারের যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই সঞ্চয় খুব বেশি সহায়ক হবে না।

সূত্র : ইউএসএ টুডে

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর