শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ব্রিটেনে তীব্র খরা, শুকিয়ে গেছে টেমস নদীর উৎসমুখ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০১:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্রিটেনে তীব্র খরা, শুকিয়ে গেছে টেমস নদীর উৎসমুখ!

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গ্রেট ব্রিটেনের লন্ডন শহরকে দু’ ভাগে বিভক্ত করে বয়ে চলা টেমস নদীর উৎস অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশিমাত্রায় শুকিয়ে গেছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, খরার কবলে পড়তে চলেছে ব্রিটেন। বিশেষজ্ঞদের এক বৈঠকের পর ইংল্যান্ডের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খরা ঘোষণা করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের


বিজ্ঞাপন


ইংল্যান্ডের দক্ষিণে অবস্থিত টেমস নদী ২১৫ মাইল (৩৫৬ কিলোমিটার) দীর্ঘ। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে লন্ডনের বড় উৎস এই নদী। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এটির উৎস শুষ্ক থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর আগের তুলনায় নদীর পানি আরও অনেক কমে গেছে। 

নদী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা রিভার্স ট্রাস্টের কর্মকর্তা এলিসডেয়ার নাউল বলেছেন, ‘এটি খুব অগভীর হয়ে পড়েছে। টেমসের শুকনো জায়গায় গিয়ে দাঁড়াতে আপনাদের খুব বেশি দূরে যেতে হবে না।’ 

Thames River Source Driest

তিনি বলেন, তীব্র গরম এবং কম বৃষ্টির কারণে ব্রিটেনের দক্ষিণাঞ্চলের দুটি পানি সরবরাহ কোম্পানি হোসপাইপ ও স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম ব্যবহারের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। টেমস ওয়াটার নামের আরও একটি কোম্পানি একই রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। 


বিজ্ঞাপন


নাউল আরও বলেন, অগভীর, উষ্ণ পানিতে কম অক্সিজেন থাকে, যা মাছ এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর জন্য ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করতে পারে।

ব্রিটেনের যে আটটি এলাকায় খরা ঘোষণা করেছে, সেগুলো হলো- ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল, সোলেন্ট অ্যান্ড সাউথ ডাউনস, কেন্ট অ্যান্ড সাউথ লন্ডন, হার্টস অ্যান্ড নর্থ লন্ডন, ইস্ট অ্যাঙ্গিলা, টেমস, লিঙ্কোনশায়ার অ্যান্ড নর্দাম্পটনশায়ার এবং ইস্ট মিডল্যান্ডস। 

অন্যদিকে, ব্রিটেনের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকায় চার দিনের জন্য চরম তাপমাত্রার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। 

Thames River Source Driest

ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি শুষ্ক ছিল গত জুলাই মাস। এ সময়ে ২৩ দশমিক ১ মিলিমিটার গড় বৃষ্টি রেকর্ড হয় অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়েছে দেশটিতে। ব্রিটেনের কিছু অংশে এটি ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে শুষ্ক মাস।

ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং জলবিদ হান্না ক্লোক বলেছেন, কম বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর স্তর এবং জলাধারগুলো কম হয়েছে। অন্যদিকে ফসলের সেচ, পানীয়র চাহিদা পূরণে পানি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ক্লোক বলেন, 'আগস্টে যদি বৃষ্টি না হয় এবং আগামী শীত যদি শুষ্ক হয়। তাহলে বসন্তে এবং পরবর্তী গ্রীষ্মে পানির ভাণ্ডার অবশিষ্ট থাকবে না। তখন আমাদেরকে গুরুতর সমস্যায় পড়তে হতে পারে।'

তিনি বলেছিলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে অবকাঠামো এবং নীতিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর