শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হঠাৎ রাশিয়ায় এরদোয়ান: কী কথা পুতিনের সঙ্গে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৫:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

হঠাৎ রাশিয়ায় এরদোয়ান: কী কথা পুতিনের সঙ্গে
করমর্দন করছেন এরদোয়ান ও পুতিন

হঠাৎ করেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুক্রবার রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় রিসোর্ট শহর সোচিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি এমন একটি সময়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন যখন মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি শস্য চালান চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় তুর্কি সামরিক হস্তক্ষেপের একটি শঙ্কা থাকায় এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাশিয়া ও তুরস্ক পরস্পরের সঙ্গে একইসাথে বন্ধুত্ব ও প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখছে। এমন সময়ে তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো উভয় দেশের নেতারা মুখোমুখি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। পুতিন ও এরদোয়ানেরর মধ্যে এমন সময়ে এ শীর্ষ আলোচনা বৈঠক হচ্ছে যথন ইউক্রেনের শস্য বহনকারী কয়েকটি জাহাজ সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘ, আঙ্কারা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে এ অসাধ্য কাজের সমাধান হয়েছে। ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান কৃষি পণ্যের রফতানি পুনরায় শুরু করার মাধ্যমে এরদোয়ানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেড়েছে। এটা বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের শঙ্কাকে প্রতিরোধ করেছে।

হঠাৎ করেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

এখন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার রাশিয়া সফরে এমন নিশ্চয়তা চাচ্ছেন যাতে করে তিনি সিরিয়াতে কুর্দিবিরোধী সামরিক অভিযান চালাতে পারেন। এছাড়া তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস ও খাদ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা চান। কারণ, শিগগিরই তুরস্কে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে জমকালো সামরিক নীতির পাশাপাশি, নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে এরদোয়ান সরকারকে। এসব কারণে তিনি পুতিনের সহায়তা চাইতেই রাশিয়া সফর করছেন।

এবার রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও মুদ্রা বিনিময় ইস্যুতেও আলোচনার সম্ভাবনা আছে। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও তুরস্কের নিজস্ব স্বার্থও রক্ষা হবে আর তুর্কি জনগণের মন জয় করাও সম্ভবপর হবে এরদোয়ানের জন্য।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এবারে সফরে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে নতুন সামরিক সম্পর্কও সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, পুতিন নিজে থেকেই এরদোয়ানের কাছে বায়রাখতার ড্রোনের বিষয়ে তার আগ্রহরে কথা জানিয়েছেন। তিনি চান রাশিয়াতে বায়রাখতার ড্রোনের একটি কারখানা নির্মাণ করা হোক।

বিভিন্ন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের রাশিয়া সফরে এরদোয়ান রুশ-তুর্কি সম্পর্ককে আরও মজবুত করবেন। বিশেষ করে সামরিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে দু’দেশ বিভিন্ন গোপন চুক্তি করতে পারে।

সূত্র : আল-জাজিরা

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর