নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা। তবে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিন জন প্রার্থী।
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হতো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে। তবে এবার বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে ভোট আয়োজন করা সম্ভব নয়। যার ফলে ২২৫ জন সংসদ সদস্যই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন। খবর গার্ডিয়ানের
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার গোতাবায়া রাজাপাকসের ইস্তফা সরকারিভাবে গ্রহণের কথা জানানোর সময় এই ঘোষণা দেন শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা।
আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯ জুলাই গ্রহণ করা হবে মনোনয়নপত্র। স্পিকার আবেবর্ধনা জানান, সংসদে যে ২২৫ জন সদস্য রয়েছেন, তাদের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি হবে। যে প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা সব থেকে বেশি ভোট পাবেন, তাকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
খবরে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে ২ কোটিরও বেশি মানুষের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা অসম্ভব হওয়ায় অন্যান্য দেশের মতোই শ্রীলঙ্কাতেও সংসদ সদস্যদের ভোটের হিসাবেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হবে। এই প্রেসিডেন্ট অন্তবর্তীকালীন ক্ষমতায় থাকবেন। এরপর দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নতুন সরকার গঠন করা হবে।
জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এখন পর্যন্ত তিনজন নাম লিখিয়েছেন। এরা হলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে, বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা ও সংসদ সদস্য ডালাস আলহাপেরুমনা।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাবে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। যদি পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের দল শ্রীলঙ্কা পরজুনা পেরমুনার সদস্যরা রনিলকেই ভোট দেন, তবে নির্বাচনে সহজেই জিতে যাবেন তিনি। তবে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণ রনিল বিক্রমাসিংহের ইস্তফার দাবি করেছেন, সেখানে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করার ঝুঁকি নাও নিতে পারেন সংসদ সদস্যরা। সেক্ষেত্রে সাজিথ প্রেমদাসাই হতে পারেন শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
একে