মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

২০ বছরে প্রথমবারের মতো ডলারের সমতুল্য হলো ইউরো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২২, ০৮:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

২০ বছরে প্রথমবারের মতো ডলারের সমতুল্য হলো ইউরো
চলতি বছরের শুরুর দিকের তুলনায় মঙ্গলবার ইউরোর মান প্রায় ১২ শতাংশ কমে যায়

২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মার্কিন ডলারের সমতুল্য হয়েছে ইউরো। মুদ্রাস্ফীতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকের তুলনায় মঙ্গলবার ইউরোর মান প্রায় ১২ শতাংশ কমে যায়। এরপর ডলার ও ইউরোর মান একই পর্যায়ে পৌঁছে।

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীদের জন্য মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের ভূমিকা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দু’দশকের মধ্যে মার্কিন মুদ্রার মান একাধিক মুদ্রার বিপরীতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।


বিজ্ঞাপন


অপরদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সরবরাহের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এখন এ মহাদেশে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস পেতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সম্প্রতি রুশ তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে তারা। একই সময়ে ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে ইউরোপজুড়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরোর মানও কমছে।

ইউরোর মান কমে যাওয়ায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ২০১১ সালের পর চলতি মাসে প্রথমবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ইসিবির সুদ হার বৃদ্ধির এ পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবে না। এ অর্থনৈতিক সংকট অনিবার্য। কারণ, ১৯৯১ সালের পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে জার্মানি। দেশটিতে জ্বালানির দাম ও সাধারণ সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় আমদানির ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, কড়াকড়িতে ইউরোপের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। তারা সুদের হার ইতোমধ্যে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে চলতি মাসে তা আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে ইউরোজোন সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, এরপর যদি ইউরোপের শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট দেখা দেয়, তাহলে মন্দা আসতে পারে।

সূত্র : আল-জাজিরা

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর