বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব অমিত শাহ, পাল্টা প্রশ্ন মমতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব অমিত শাহ, পাল্টা প্রশ্ন মমতার

পশ্চিমবঙ্গের অনুপ্রবেশ ইস্যু শুধুমাত্র রাজ্যেরই নয় ‘জাতীয় স্তরে নিরাপত্তার’ জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে-এমন অভিযোগ তুলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার দাবি, এই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। আসাম, ত্রিপুরা, কাশ্মীর এবং, পাঞ্জাব সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ করা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হয়নি।

মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন অমিত শাহ। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে পাশে নিয়ে এদিন সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


আসন্ন বিধানসভা ভোটের আবহে রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ যখন ক্রমশ চড়ছে, ঠিক সেই সময়েই পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন শাহ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এক জনসভা থেকে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন যদি অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে পহেলগামের ঘটনা কেন ঘটল?

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি যদি বাঙালিদের মন পেতে চায় তাহলে ওড়িশা-সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো থেকে কেন বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে।

আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে আপাতত সরগরম হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তারই মাঝে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অমিত শাহ। 


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, মূলত অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে। কারণ রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের ইস্যু এখন জাতীয় স্তরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসে নির্বাচন হবে। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, এবং অপশাসনকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ চিন্তিত, উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে। এমন মজবুত রাষ্ট্রীয় গ্রিড বানাব যে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ কেন, পাখিও ঢুকতে পারবে না। অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের দেশ ছাড়া করা হবে।’ এরপরেই অনুপ্রবেশের জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।

অমিত শাহ বলেছেন, ‘পুরো বাংলার মানুষ অনুপ্রবেশ নিয়ে ভীত হয়ে রয়েছে। এমন কোনো সরকার আছে যারা নিজেদের রাজ্যকেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল করে তোলে? এটা দেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা ক্ষতিকর! এর জবাব বাংলার নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। অনুপ্রবেশ রুখতে (রাজ্য) সরকার কী কী করেছে?’

তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি বলেছেন, ‘মমতাজি, এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, কোন সরকার রয়েছে, যারা সীমান্তে বেড়ার জন‍্য জমি দেয় না? আপনি জবাব না দিতে পারলে আমি দিয়ে দিচ্ছি। শুধুমাত্র আপনার সরকারই এমন করে।’

প্রসঙ্গত, অনুপ্রবেশ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছে দুটো দলই। বিজেপির অভিযোগ, ভোট ব্যাংকের কথা ভেবে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয় তৃণমূল।

অন্যদিকে, তৃণমূলের যুক্তি সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। তাই নিরাপত্তায় গাফিলতি হলে সেই দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। এমন কী এই দায়ের প্রসঙ্গ তুলে একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঙ্গলবারের তারই জবাব দিয়েছেন শাহ।

তিনি বলেছেন, ‘যদি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেও পড়ে তাহলে প্রথমে কোথায় যায়? পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে। আপনার থানা কী করছে? থানা কেন গ্রেফতার করে না তাদের, কেন তাদের ফেরত পাঠায় না?’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন তিনি। অমিত শাহ প্রশ্ন করেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কি জবাব দিতে পারবেন ত্রিপুরা, আসাম,রাজস্থান, পাঞ্জাব বা কাশ্মীর সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখা গিয়েছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা হয়নি? মানুষ ভয়ে রয়েছেন। বাংলার ডেমোগ্রাফি ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করা হচ্ছে।’

তার যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গে এমন এক মজবুত সরকারের প্রয়োজন যারা, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারে।

দুর্নীতি ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

অমিত শাহ অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন থমকে থাকার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের দুর্নীতি। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা একেরপর এক দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
চিটফান্ড দুর্নীতি, নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, আবাস-একশো দিনের কাজে দুর্নীতির বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।

অমিত শাহের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী কি জবাব দিতে পারবেন, আপনারই মন্ত্রীর ঠিকানা থেকে কীভাবে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়, যেটা গুনতে গুনতে নোট গোনার মেশিনও গরম হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। বাংলার মতো গরিব রাজ্যে এত কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে, কোনও দায় নেই আপনার?’

এরপর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো একাধিক তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে নারী নিরাপত্তার বিষয়েও উল্লেখ করেছেন।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা, দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াকে ধর্ষণ, দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন এবং সন্দেশখালির কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেছেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার পরে নারীদের ঘর থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন! কোন জমানায় রয়েছি আমরা? মুঘল যুগে রয়েছি নাকি?’

‘বিজেপিকে সুযোগ দিন’

সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম জমানার প্রসঙ্গ একাধিকবার টানতে দেখা গিয়েছে তাকে। দুই দলের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি যেমন বামেদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন, তেমনই আসন্ন ভোটে বিজেপিকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলতে গিয়েও সেই বামেদের প্রসঙ্গ এনেছেন।

অমিত শাহ বলেছেন, ‘শিল্পের দিক থেকে বাংলা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুরুটা বাম আমলে হয়েছিল। বামেরা অর্ধেক শেষ করে গিয়েছিল। আপনি পুরোটা শেষ করে দিয়েছেন। সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কারণে এই রাজ্যে বড় কোনো শিল্পে কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না।’

পাশাপাশি, 'ভোটব্যাঙ্কের' কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'তোষণের রাজনীতির' অভিযোগও তুলতে ভোলেননি।

দীঘায় মন্দির তৈরির পর নিউটাউনে দুর্গা আঙ্গনের শিলান্যাসের বিষয়ে ইঙ্গিত করে শাহ মন্তব্য করেছেন, তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করে। তার আরো দাবি, হিন্দু ভোটারদের মন জিততে তৃণমূল সম্প্রতি কাজ শুরু করলেও অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।

তার কথায়, ‘আমি দেখছি আপনি মলম লাগানর চেষ্টা করছেন। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষের মনের আঘাত এতটাই গভীর কোনও মলম কাজ করবে না।’

গত কয়েক বছরে রাজ্যে বিজেপির ভিত আগের চেয়ে 'মজবুত' হয়েছে বলেও সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে দাবি করেন তিনি। দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমে কংগ্রেসের প্রভাব কমে এসেছে। একদা ক্ষমতাসীন বাম আমলেরও অবসান হয়েছে এবং রাজ্যবাসী তৃণমূল সরকারকে সুযোগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি নিজেদের প্রধান বিরোধীদল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। বিহার নির্বাচনে জেতার পর তাদের লক্ষ্য এখন পশ্চিমবঙ্গে জয় লাভ করা।

আসন্ন ভোটে বিজেপিকে জেতানোর আর্জি জানিয়ে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "আপনারা দীর্ঘ দিন কংগ্রেসকে সময় দিয়েছেন। ৩৪ বছর বামেদের দিয়েছেন, ১৫ বছর মমতাজিকে দিয়েছেন। আমার বিনীত অনুরোধ, এ বার মোদীজির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠন করার সুযোগ দিন।"

পহেলগাম নিয়ে মমতার পাল্টা প্রশ্ন

অমিত শাহের অভিযোগের জবাবে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাঁকুড়া জেলায় আয়োজিত এক সভা থেকে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শুধু বাংলাতেই অনুপ্রবেশ হয়? কাশ্মীরে হয় না? পহেলগেম কী ঘটল? পহেলগাম কি আপনারা করেছিলেন?’

সীমান্তে বেড়া দিতে রাজ্যের পক্ষ তেকে যে জমি জটের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির তা খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি জমি না দিলে রেলের প্রকল্প ,কয়লা প্রকল্প হলো কী করে?’

রাজ্যে তিনদিনের সফরে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সৌজন্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাইলে আপনাকে এক পা-ও বেরোতে দিতাম না, কিন্তু এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।’

এরপর এসআইআর থেকে শুরু করে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার অভিযোগসহ একাধিক প্রসঙ্গ টেনে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট এলেই সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে। সোনার বাংলা নয়, ধ্বংসের বাংলা গড়বে তোমরা।’

ওড়িশাসহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার যে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে, সে নিয়েও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

অমিত শাহের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুনুন, আমরাও ওড়িশা ভবন ঘেরাও করতে পারি। কিন্তু আমরা ভদ্র, আমরা তা করিনা। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক রয়েছেন। কই আমরা তো তাদের সম্মান করি। আর আসামে, ওড়িশায় কেউ বাংলা বললে তাদের বাংলাদেশি বলা হয়, অত্যাচার করা হয়। আমাকেও তো বাংলাদেশি বলে ওরা। আমার জন্ম বীরভূমের একটা ছোট্ট গ্রামে।’

এসআইআর প্রসঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি এসআইআর এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে এসআইআর-এর নাম করে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষের নাম ওই খসড়া তালিকায় নেই। সে সঙ্ক্রান্ত শুনানির কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সেই শুনানিতে যেতে গিয়ে প্রবীণসহ বহু মানুষকেই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেছেন, ‘এসআইআর মানে সর্বনাশ। এক কোটি ৩৬ লক্ষ লোককে ডেকেছে। এরা সকলেই নথিপত্র জমা করেছে। এটা বড় কেলেঙ্কারি। আপনার পদত্যাগ চাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করুন।’

তার আরো অভিযোগ, এসআইআর-এর খসড়া তালিকায় দেখা গিয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক মানুষেরই নাম নেই। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মতুয়াদের আশ্বাস দিলেও বিজেপি সে কথা রাখেনি। এসআইআর-এর নাম করে অনেকের নাম বাদ গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘মতুয়াদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যে শরণার্থীরা পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, তারা ভারতের নাগরিক। এটা বিজেপির প্রতিশ্রুতি। কেউ তাদের ক্ষতি করতে পারবেন না।’

দুর্নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তাদের মধ্যে কতজনের শাস্তি হয়েছে। বিজেপির কড়া সমালোচনা করে তাদের ভোট না দেওয়ার পক্ষেও কথা বলেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার দুই দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের এই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ দুই দলই। বিবিসি বাংলা 

 

এমএইচআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর