মালয়েশিয়ার একটি আদালত কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের গৃহবন্দি হয়ে বাকি সাজা ভোগের আবেদন খারিজ করেছেন। আদালতের মতে, এ বিষয়ে যে রাজকীয় আদেশের কথা বলা হচ্ছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জারি করা হয়নি। ফলে আদেশটি বৈধ নয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়। খবর আল জাজিরার।
বিজ্ঞাপন
গৃহবন্দির আবেদন প্রত্যাখ্যানের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় মামলার রায়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। শুক্রবার আরেকটি আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
বহুল আলোচিত ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের একটি ইউনিট থেকে অবৈধভাবে আত্মসাতের জন্য ২০২০ সালে নাজিবকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ওয়ানএমডিবি সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি মামলায় নাজিবের বিচার চলছে।
মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীদের হিসাব অনুযায়ী, ওয়ানএমডিবি থেকে ৪৫০ কোটি ডলার চুরি হয়েছে এবং নাজিবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নাজিব রাজাক আদালতে দাবি করেছিলেন, গত বছর তৎকালীন মালয়েশিয়ার রাজার দেওয়া ক্ষমার অংশ হিসেবে একটি রাজকীয় আদেশ জারি হয়েছিল। ওই আদেশ অনুযায়ী তিনি কারাগারের বাইরে, নিজ বাড়িতে থেকে বাকি সাজা ভোগের অধিকার পান। এই আদেশের অস্তিত্ব স্বীকার এবং তা কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করার আবেদন জানান তিনি।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক অ্যালিস লোক রায়ে বলেন, রাজকীয় আদেশের অস্তিত্ব নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নাজিবকে গৃহবন্দির অনুমতি দেওয়ার আগে সাবেক রাজার দেশের পারডনস বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল।
নাজিব রাজাক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছেন।
এমআর

