শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৭ মাসে একজনও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেনি, দাবি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

৭ মাসে একজনও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেনি, দাবি ট্রাম্পের

কঠোর ভিসানীতি ও অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যাপক অভিযান শুরু পর গত সাত মাসে একজন বিদেশিও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেনি বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই নানা দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।


বিজ্ঞাপন


ট্রাম্প বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে, আমাদের দেশে কোনও অবৈধ অভিবাসীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সকলেই বলেছিল এটা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সীমান্ত পেয়েছি, কিন্তু দ্রুত সেটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্তে পরিণত করেছি আমরা।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমোলোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, যখন জো বাইডেন বলেছিলেন যে সীমান্ত বন্ধ করতে কংগ্রেসের আইন পাশ করা উচিত? আদতে আমাদের আইনের প্রয়োজন ছিল না। আমাদের শুধু একজন নতুন প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন ছিল।’

এদিকে বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস বা ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঙ্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোনাস প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে, যা মূলত বিভিন্ন দেশের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ওপর তার প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক এবং গত ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ থেকে আসবে। 

এছাড়াও ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়দের প্রথম ১১ মাসের অর্থনৈতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। 

তিনি দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে।

তিনি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা নিত্যপণ্যের দাম আকাশে তুলেছিলেন, কিন্তু আমরা তা সমাধান করছি।’

ট্রাম্পের মতে, ল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তার আরোপিত শুল্কনীতিই দায়ী। কারণ আমদানি শুল্ক এড়াতে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশেই উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমোবাইলের মতো খাতেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, যা আমেরিকান ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি। 


এমএইচআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর