অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সৈকতে হামলার পরই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন নবিদ আকরাম। কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) কোমা থেকে বেরিয়ে আসার পর হাসপাতালেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, নবিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৯টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, খুন, আহত, খুনের চেষ্টার, গুরুতর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ছোড়া।
হাসপাতালে তাকে গ্রেফতার করা হলেও এখন চিকিৎসাধীনই থাকবেন। গত রোববার দুপুরে বন্ডি সৈকতে সিডনির ইহুদি গোষ্ঠীর হনুক্কাহ্ উৎসবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন পিতা-পুত্র। সাজিদ আকরাম এবং নবিদ আকরাম।
আরও পড়ুন:
এ সময় এলোপাথাড়ি গুলি চালান তারা। মাত্র ১০ মিনিটের সেই হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে আহত আরও একজন মারা যান।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাজিদের। গুলি লাগে নবিদের গায়েও। গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জ্ঞান ছিল না তার।
চিকিৎসকেরা জানান, গুলি লাগায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন নবিদ। পুলিশ জানিয়েছে, নবিদকে জেরা করেই জানা যাবে হামলার আসল কারণ।
নবিদরা কেন বন্ডি সৈকতে নির্বিচারে গুলি চালালেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু পুত্র যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা কিছুতেই বিশ্বাস করছেন না মা ভেরেনা।
তার দাবি, পুত্র নবিদ মানুষ হিসাবে খুবই ভাল। এতটাই ভাল যে, অন্যরাও তার মতো ছেলেকে পেতে চাইবে বলে দাবি তার।
রোববারের ঘটনাক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, ও (নবিদ) আমায় ফোন করে বলল, মা আমি সাঁতার কাটতে গিয়েছিলাম। স্কুবা ডাইভিং করেছি। এখন খেতে যাচ্ছি। তার পর বাড়িতেই থাকব। কারণ, বাইরে খুব গরম।
প্রথমে জানা যায়, তারা পাকিস্তানের নাগরিক। তবে মঙ্গলবার তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সিডনিতে যাওয়ার আগে গত মাসে ভারতীয় পাসপোর্টে ফিলিপাইন ভ্রমণে গিয়েছিলেন সাজিদ ও তার পুত্র।
এর পরেই শুরু হয় জল্পনা, তবে কি তারা ভারতীয় নাগরিক? এ ব্যাপারে সিলমোহর দেয় তেলঙ্গানা পুলিশ। তারা জানায়, সাজিদের জন্ম, পড়াশোনা— সবই ভারতে। তবে চাকরির সন্ধানে ১৯৯৮ সালে ভারত ছেড়ে পাড়ি দেন অস্ট্রেলিয়া।
-এমএমএস

