কলকাতায় লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানকে ঘিরে আজ বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। সল্টলেক স্টেডিয়ামে হাজার হাজার ভক্ত প্রিয় ফুটবলার মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় এসেছিলেন। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, সল্টলেক স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে, তাতে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ভারতে প্রাণ নিয়ে শঙ্কায় মেসি, স্টেডিয়াম ছাড়লেন ২০ মিনিটে
তিনি বলেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়ামে আজ যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি স্তম্ভিত, মর্মাহত। আমি স্টেডিয়ামে যাচ্ছিলাম, অজস্র ক্রীড়াপ্রেমীদের মতোই প্রিয় ফুটবলার মেসিকে দেখতে। এই দুঃখজনক ঘটনার পর আমি ক্ষমা চাইছি মেসির কাছে, সমস্ত ভক্তদের কাছে।’
ঘটনার তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব থাকবেন। কমিটি ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবে, দায় ঠিক করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ করবে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানের সময় স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদ মেসির চারপাশে ঘিরে থাকেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে দর্শকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যারিকেড ভাঙা হচ্ছে, মাঠের ভেতরে বোতল ও চেয়ার ছোড়া হচ্ছে। পুলিশ ভাঙা চেয়ার দিয়ে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে ফেন্সিং ভেঙে হাজার হাজার মানুষ মাঠে ঢুকে পড়ে। কয়েক জন মাঠের ধারে রাখা তাঁবুতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ গোল পোস্টের জাল ছিঁড়ে ফেলেন। সাজঘরে যাওয়ার টানেলের ছাউনিও ভেঙে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ। দফায় দফায় জনতা ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। ক্ষুব্ধ জনতার দখলে চলে যায় গোটা স্টেডিয়াম এলাকা।

