শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

রাশিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার অনুরোধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ১২:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

রাশিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার অনুরোধ

জ্বালানি আমদানির জন্য ঋণের সহায়তা চাইতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বুধবার তিনি একথা জানিয়েছেন। দ্বীপ দেশটি সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।

রাজাপাকসে হ্যাস ট্যাগ দিয়ে একটি টুইটে বলেছেন, 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনালাপ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।' খবর রয়টার্সের


বিজ্ঞাপন


রাশিয়ার সরকার অতীতে শ্রীলঙ্কার প্রতি যে সমর্থন দিয়েছে, তার জন্য পুতিনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন রাজাপাকসে।

শ্রীলঙ্কা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, যার ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ওষুধ, খাদ্য এবং জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ডাক্তারদের উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশটির পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনই ভেঙে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে জ্বালানী আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এর আগে বলেছিলেন, তার দেশও এটি অনুসরণ করবে এবং প্রথমে অন্যান্য উত্স সন্ধান করবে, তবে শেষ পর্যন্ত এটি সফল হয়নি। শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করেছে এবং ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা আরও করতে ইচ্ছুক।

শ্রীলঙ্কা আরও রাজস্ব আয়ের পথ হিসেবে পর্যটনের দিকে ঝুঁকছে। আরও দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করার এবং ভারত থেকে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনার আশায় ভারতের পাঁচটি শহরে তারা রোড শো করবে।


বিজ্ঞাপন


পর্যটন মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো সাংবাদিকদের বলেছেন, 'এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শ্রীলঙ্কার অবশ্যই পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে। এটা অপরিহার্য।' ফার্নান্দো বলেন, তিনি আশা করছেন বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ১০ লাখ পর্যটক শ্রীলঙ্কায় যাবেন।

গত সপ্তাহে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল শ্রীলঙ্কায় ১০ দিনের সফর শেষ করেছে, কিন্তু দুই পক্ষ একটি বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। সফরের পর আইএমএফের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা বর্তমানে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে ২০২২ সালে দেশটির অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে সংকুচিত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার মওজুদ এতটাই কম যে তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিবৃতিতে অবশ্য আরও বলা হয়েছে, আমরা আইএমএফের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই কঠিন সময়ে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর