থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার সকালে থাইল্যান্ডের সেনারা কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়। থাইল্যান্ডের দাবি, হামলার আগে কম্বোডিয়ার সেনারা তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যার ফলে একজন থাই সৈন্য নিহত ও চারজন আহত হন। (সূত্র: আল জাজিরা)।
রয়্যাল থাই আর্মির মুখপাত্র মেজর-জেনারেল উইনথাই সুভারী জানান, বিমান হামলার পর সীমান্ত এলাকায় থাকা নাগরিকদের দ্রুত নিরাপদে সরানোর জন্য থাই সেনারা সহায়তা করছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত অঞ্চলে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচিয়াতা বলেন, ‘থাই সেনারা সোমবার ভোরে প্রেহা ভিহিয়ার ও ওড্ডার মিয়ানচে প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। কম্বোডিয়া এখনো কোনো প্রতিহিংসা চালায়নি।’
এই ঘটনা ঘটে দুই দেশের মধ্যে জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সীমান্তে নতুন ধরনের সহিংসতা হিসেবে।
গত মে মাসের শেষ দিকে একটি সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষে এক কম্বোডিয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর অংশ হিসেবে সীমান্তের দুই পাশেই সেনা বাড়ানো হয় এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েনে থাইল্যান্ডের জোট সরকার প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। পরে দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষও হয়।
বিজ্ঞাপন
এমআর

