শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তালেবানকে স্বীকৃতির এটি উপযুক্ত সময় নয়: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ১০:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

তালেবানকে স্বীকৃতির এটি উপযুক্ত সময় নয়: যুক্তরাষ্ট্র
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (মাঝে)- ফাইল ফটো

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের প্রায় এক বছর হলেও কোনো দেশই এখনো তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। কবে নাগাদ তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে তারও কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে, তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়ার এটি উপযুক্ত সময় নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এক সাক্ষাৎকারে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, 'আমি মনে করি মস্কো,বেইজিং এবং ইরানসহ একটি বৈশ্বিক ঐকমত্য রয়েছে যে, স্বীকৃতির জন্য এখনই উপযুক্ত সময় নয়।' খবর ভয়েস অব আমেরিকার


বিজ্ঞাপন


দুই দশকের বৈদেশিক হস্তক্ষেপ সমাপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অংশীদাররা নিজেদেরকে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করার পর গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।

ওয়াশিংটন বারবার স্পষ্ট করে বলেছে, যতক্ষণ না তালেবান নারীদের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য জাতিগত আফগান গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়।

তালেবান তাদের সরকারকে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত বলে। তারা নারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য নীতির পক্ষ নিয়ে বলেছে সেগুলো আফগান সংস্কৃতি এবং শারিয়া, ইসলামি আইনের সাথে কঠোরভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। 

চীন ও পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলো তালেবান সরকারের সাথে তাদের কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগ চালু রেখেছে।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে তার গোষ্ঠীর নীতি বা কোন দেশ বৈধতা প্রদানের বিলম্বের জন্য দায়ী কিনা তা ব্যাখ্যা করতে বললে তিনি বলেন, 'বিদেশি দেশগুলোর স্বীকৃতির বিষয়টি দেখা হলে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বাধা'। 

তালেবানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোকে এই দিকে যেতে দেয় না এবং নিজেও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।'

মুজাহিদ দাবি করেন, তালেবান তাদের সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য 'সমস্ত প্রয়োজনীয়তা' পূরণ করেছে। তিনি জোর দিয়েই বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল দেশকে বুঝতে হবে যে তালেবানের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় রয়েছে সকলের স্বার্থ। এটি বিশ্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের সাথে তাদের 'অভিযোগ' নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।

মুজাহিদ জোর দিয়েই বলেন যে, তালেবান নেতারা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালোভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চায়। ওয়াশিংটনকে কাবুলের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক স্থাপনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা শত্রু ছিলাম এবং যতদিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান দখল করেছিল ততদিন তার সাথে যুদ্ধ করছিলাম। সেই যুদ্ধ এখন শেষ হয়েছে। মুজাহিদ দাবি করেছেন যে, আল-কায়েদা বা এর কোনো সদস্যই আফগানিস্তানে উপস্থিত নেই, বলেছেন যে তারা সবাই ২০০১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক আক্রমণের পর তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর