জার্মান নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় কেউ যদি ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়, তাহলে তাকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে। অর্থাৎ, পরবর্তী ১০ বছর ওই ব্যক্তি আর জার্মান নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
গত বুধবার জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগ-এর অভ্যন্তরীণ কমিটি এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে। নিরাপদ উৎস দেশ নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় এই বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অভ্যন্তরীণ কমিটির রক্ষণশীল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এবং ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি সদস্যরা বিলের সংশোধিত ধারার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে গ্রিনস এবং ডি লিংকে-এর সদস্যরা সংশোধনীটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
জার্মানির কয়েকটি রাজ্যে নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় জার্মান ভাষা শিক্ষার ভুয়া সনদ জমা দিয়েছেন আবেদনকারীরা। এসব ঘটনার পর ভুয়া সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার।
খসড়াটি নিয়ে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন বিল পাসে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিও হতে পারে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি জার্মান নাগরিকত্ব গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শর্তপূরণের ক্ষেত্রে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকে, তবে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এমনকি নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো আবেদনকারী যদি প্রতারণা, হুমকি বা ঘুস দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। এর মেয়াদ হবে ১০ বছর।
বিজ্ঞাপন
আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আইনটি আরো শক্তিশালী হবে এবং আইনের লঙ্ঘন এড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আইনের আরেকটি ধারায় পরিবর্তন আনারও প্রস্তাব এসেছে। গত এক বছর ধরে অনিয়মিত অভিবাসী বা প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কারের আগে আটককেন্দ্রে রাখার সময় রাষ্ট্রীয় খরচে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছিলো জার্মানি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় অর্থে এই আইনি সহায়তা দেয়ার বিধানটি বাতিল করতে চায় বর্তমান সরকার।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমএইচআর

