পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজব ও জল্পনা চলছে। এমনকি একটি আফগান সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাকে আদিয়ালা কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইমরান খানের বোন উজমা খানুমকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে উজমা তার ভাই ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে আদিয়াল কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে আসা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অন্য দুই বোন আলেমা খান এবং নওরীন নিয়াজি এবং পিটিআই-এর নেতাকর্মীরা কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন।
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাতের পর কারাগারের বাইরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উজমা বলেন, ‘ইমরান খানের স্বাস্থ্য পুরোপুরি ভালো। তবে তিনি খুব ক্ষুব্ধ এবং তাকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।’
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সারাদিন ধরে তার ছোট সেলে আটকে রাখা হচ্ছে, বাইরে যাওয়ার সময় খুবই কম, এমনকি কারাগারের অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গেও কোনও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রায় ৩০ মিনিট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে উজমা আরও বলেন, ‘আমার বোনদের [আলিমা খান এবং নওরীন খান] সঙ্গে পরামর্শের পর কথোপকথনের বিয়য়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।’
প্রসঙ্গত, একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গে সাক্ষাতে অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর ভুয়া খবরও ছড়িয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের তিন বোন অভিযোগ করেছেন, গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভাইয়ের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তারা সাক্ষাতের দাবি জানাতে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের সামনে পুলিশের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন।
পরবর্তীতে ইমরান খানের ছোট ছেলে অভিযোগ তোলেন তার বাবার ‘জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ নেই’।
গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে এক বিবৃতিতে কাসিম খান বলেছেন, ‘আমার বাবা (ইমরান খান) ৮৪৫ দিন ধরে আটক আছেন এবং গত ছয় সপ্তাহ ধরে তাকে একা একটি ‘ডেথ সেল’-এ বন্দি রাখা হয়েছে। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও তার বোন ও পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমকি কোনও ফোন কল হয়নি, কোনও দেখা হয়নি এবং তার জীবিত থাকার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।’
সূত্র: ডন
এমএইচআর

