নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান ব্যক্তিগত সচিবসহ বেশ কয়েকজনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশটির সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া জেন-জি খ্যাত তরুণদের একটি দল।
নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ‘কথিত স্বজনপ্রীতির’ বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জেন-জি গ্রুপ প্রতিবাদ করছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়- সিংহ দরবারে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু তারা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি ভবন ছেড়ে চলে যান।
বিজ্ঞাপন
পরে আজ মঙ্গলবার জেন-জি নেতা মিরাজ ধুঙ্গানার নেতৃত্বে দলটি সিংহ দরবারে প্রবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রধান ব্যক্তিগত সচিবসহ অন্যান্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তরের চেষ্টা চেষ্টা করে। তবে প্রশাসনিক কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের কাছে যেতেই পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত সিংহ দরবার গেটে নথিটি সাঁটিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
কাঠমান্ডু জেলা পুলিশ রেঞ্জের মুখপাত্র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট পবন কুমার ভট্টরাই বলেছেন, ৬০ জনেরও বেশি লোকের একটি দল ওই এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় পাঁচজনের বেশি লোকের জমায়েত এবং স্লোগান দেয়া নিষিদ্ধ। তারা (বিক্ষোভকারীরা) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে একটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ করেছিল। তাই তাদের চলে যেতে বলা হয়। কাউকে আটক করা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শন্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জনের প্রাণহানির পর রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ দেশজুড়ে সহিংসতা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যেই প্রাণ হারান ৭৬ জন। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
অলির পদত্যাগের তিন দিনের মাথায় দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দায়িত্ব নিয়েই আগামী বছরের মার্চে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
এমএইচআর

