ভারতের দিল্লির গ্রেটার নয়ডার বেটা-১ এলাকায় এক বাংলাদেশি ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম শাহারিয়ার (২৮)। পুলিশের ধারণা, মৃতদেহটি সম্ভবত গত দুই দিন ধরে ঝুলছিল।
নিহত শাহারিয়ার ওই অঞ্চলের (নয়ডা) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি গত ১৭ নভেম্বর এক নারীর সঙ্গে বেটা-১ এর একটি ফ্ল্যাটে উঠেন। ওই নারীর নাম রুপা। তিনি বিহারের বাসিন্দা। ফ্ল্যাট নেওয়ার সময় তিনি শাহারিয়ারের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার রাতে, যখন বাড়িওয়ালা কয়েকদিন ধরে যুবকটির ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তখন তিনি ফ্ল্যাটের ভেতরে উঁকি দিয়ে শাহারিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান।
পুলিশ খবর পেয়ে ভেতর থেকে দরজা ভেঙে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেটা-২ থানার পুলিশ অফিসার বিনোদ কুমার জানান, মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই এবং এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
পুলিশ ধারণা করছে, শাহারিয়ার এবং রুপার মধ্যে কোন বিবাদ এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে। ফ্ল্যাটের সব গৃহস্থালির জিনিসপত্রও অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোন জব্দ করেছে এবং ওই নারীর অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এছাড়া, নিহতের পরিবারের সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শাহারিয়ার বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশে বসবাস করেন। যুবকটি প্রায় দুই বছর আগে বাড়ি ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা তার অবস্থান সম্পর্কে অজানা ছিলেন।
তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিট আরও তদন্ত করছে। বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত চলমান।
-এমএমএস

