যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। গত মঙ্গলবার আমেরিকার জেরাল্ড আর ফোর্ড (বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী) লাতিন আমেরিকায় পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রণতরীটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভেনেজুয়েলার জলসীমায় ঢুকে পড়বে। আন্তর্জাতিক মাদক পাচার রুখতে এই রণতরী পাঠানো হচ্ছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করলেও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মতে, আমেরিকার সামরিক অভিযানের আসল লক্ষ্য তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
বিজ্ঞাপন
এই যুদ্ধজাহাজ ছাড়া ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-শাসিত অঞ্চল পুয়ের্তো রিকো দ্বীপে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান এবং ক্যারিবীয় সাগরে আরও ছয়টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ভেনেজুয়েলাও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জানিয়েছে, তারা যদি সেনা মোতায়েন করতে শুরু করে, তাহলে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় তিন সপ্তাহ আগে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন। উদ্দেশ্য, আন্তঃসীমায় মাদক পাচার এবং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত চক্রগুলিকে ধ্বংস করা।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় সাগর এবং লাতিন আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে মাদক বহন করছে সন্দেহে অন্তত ২০টি নৌযানে হামলা চালায়। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।
-এমএমএস

