সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নেপালে আগামী নির্বাচনে লড়বে ১২৫ দল 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

নেপালে আগামী নির্বাচনে লড়তে চায় ১২৫ দল 

গত সেপ্টেম্বরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের পর নেপালের প্রথম সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ১২৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এসব দলের মধ্যে বেশিরভাগ দলই কয়েক দশক ধরে সক্রিয় রয়েছে, তবে সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া যুব নেতাদের গঠিত কয়েকটি দলও নিবন্ধন করেছে।

বুধবার নেপালের নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করছি যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি নতুন নেতৃত্ব আনতে আগ্রহী।’


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও জানান, দল নিবন্ধন আরও দুই সপ্তাহের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চূড়ান্ত তালিকা, নতুন দল এবং যুব গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তদের সঠিক সংখ্যা আগামী ১৮ নভেম্বরের সময়সীমার পরে প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে প্রাণঘাতী দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পর নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি কার্কি। দায়িত্ব নিয়েই আগামী বছরের ৫ মার্চের মধ্যে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের  নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ৭৩ বছর বয়সী কার্কি দেশের আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের মৌলিক কিছু কাঠামোতে সংস্কারের লক্ষ্যে ছোট পরিসরের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন।

গত ২৯ অক্টোবর দেশের সকল প্রধান রাজনৈতিক দল এবং যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কার্কি, যেখানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি - ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদী (সিপিএন-ইউএমএল) এর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। 


বিজ্ঞাপন


বৈঠকের পর এক এক্স বার্তায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেন, ‘আমরা সংলাপের মাধ্যমে সহযোগিতা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে সফল হয়েছি। নতুন প্রজন্ম, রাজনৈতিক দল এবং সরকার সকলের লক্ষ্য একই - সুষ্ঠু, নিরাপদ এবং সময়োপযোগী নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর প্রতি জনগণের গভীর অবিশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ভট্টরাই জোর দিয়ে বলেন, ‘কমিশন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শন্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জনের প্রাণহানির পর রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ দেশজুড়ে সহিংসতা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে অন্তত ৭৬ জন নিহত ও ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হন। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। 

সূত্র: এএফপি

এমএইচআর                                       

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর