ফিলিস্তিনি বন্দীদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক মিলিটারি অ্যাডভোকেট জেনারেল মেজর জেনারেল ইয়িফাত টোমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এমন একটি ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, যেখানে একজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলি সেনারা মারাত্মক নির্যাতন করছে এমন দেখা যায়।
গত বছর আগস্টে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণ ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে এক বন্দীকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং একটি ধারালো বস্তু দিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগের মুখে পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে আদালতে তোলা হয়েছে; তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডানপন্থি আইনজীবীরা বিচারপ্রক্রিয়া বাতিলের দাবি তুলেছেন। খবর বিবিসির।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে ভিডিও ফাঁসের তদন্ত শুরু হলে টোমার-ইয়েরুশালমিকে ছুটিতে পাঠানো হয় এবং পরে তিনি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
তবে রোববার (২ নভেম্বর) তাকে নিখোঁজ পাওয়া গেলে ঘণ্টাব্যাপী অনুসন্ধানের পর তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং পরে হেফাজতে নেওয়া হয়। একজন সাবেক সামরিক প্রসিকিউটরসহ দুজনকে ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “যে কেউ আমাদের সেনাদের বিরুদ্ধে রক্তকলঙ্ক ছড়ায়, তারা সেনাবাহিনীর পোশাক পরার অযোগ্য।”
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে ভয়াবহ জনসংযোগমূলক আক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেন।
এফএ

