সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের আদেশ স্থগিত করল নেপালের সুপ্রিম কোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের আদেশ স্থগিত করল নেপালের সুপ্রিম কোর্ট

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সরকারের নিয়োগকৃত চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ১১ জন রাষ্ট্রদূতকে সম্প্রতি প্রত্যাহারের আদেশ দেয় দেশটির অন্তর্বতীকালীন সরকার। তবে সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই আদেশ স্থগিত করেছেন। এই রায়কে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি ও তার সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে তাদের কর্মদক্ষতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। 


বিজ্ঞাপন


এদিকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন দেশটির আইনজীবী অনন্ত রাজ লুইটেল। 

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সরকার আদালতে রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের যথাযথ যুক্তি দিতে পারেনি। রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ পদে থেকে আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবেন।’

রায়ের প্রতিক্রীয়ার অন্তবর্তী সরকোরের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জগদীশ খারেল বলেছেন, ‘সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে প্রাণঘাতী দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পর নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি কার্কি। দায়িত্ব নিয়েই আগামী বছরের ৫ মার্চের মধ্যে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের  নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ৭৩ বছর বয়সী কার্কি দেশের আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের মৌলিক কিছু কাঠামোতে সংস্কারের লক্ষ্যে ছোট পরিসরের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন।

নেপালের রাজনৈতিক বিশ্লেষক পুরঞ্জন আচার্য বলেন, আদালতের এই রায় কার্কির জন্য বিশাল এক ধাক্কা। তিনি জেন-জি আন্দোলনের নেতাদের চাপের মুখে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছিলেন। সরকারের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত আদালতে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে জেনেও তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি তাকে ভবিষ্যতের চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

এদিকে আরও বেশকিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার জন্য জেন-জি আন্দোলনের নেতাদের চাপের মুখে আছেস কার্কি, যার মধ্যে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার প্রধানও রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শন্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জনের প্রাণহানির পর রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ দেশজুড়ে সহিংসতা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে অন্তত ৭৬ জন নিহত ও ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হন। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। 

সূত্র: রয়টার্স 

এমএইচআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর