ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ঘিরে আতঙ্কের কারণে আত্মহত্যা যেন থামছেই না। এবার রাজ্যের ব্যারাকপুরে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল রোড, মনসা মন্দির এলাকায় নিজের বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন কাকলি ঘোষ (৩৩) নামে ওই গৃহবধূ। পাশ থেকেই পাওয়া গেছে একটি চিরকূট। সেখানে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। তবে মৃত ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কের শিকার হয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বিয়ের পর বাংলাদেশ থেকে ব্যারাকপুরে এসেছিলেন কাকলি ঘোষ। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে দাবি তার পরিবারের।
এদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবারই এসআইআর আতঙ্কের বীরভূমের ইলামবাজার এলাকায় ক্ষিতীশ নামে ৯৫ বছরের এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
নিহত বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, গত কয়েক দিন নিয়ে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ক্ষিতীশ। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম ছিল না। মূলত তা নিয়েই চিন্তিত ছিলেন। তাকে এই বয়সে আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন। মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।
বিজ্ঞাপন
একই কারণে গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা প্রদীপ কর। তার মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘সুইসাইড নোটে’ সে কথাই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তার পরিবারও দাবি করেঝে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামের বানান ভুল থাকায় তা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন বছরে ৬০-এর ওই বৃদ্ধ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক আত্মহত্যার খবর উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে, যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এমএইচআর

