তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় মুগলা প্রদেশের উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি রাবারের নৌকা ডুবে অন্তত ১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয়।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে মুগলা গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, এজিয়ান সাগরে ওই নৌকাডুবির পর একজন আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশী সাঁতরে মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসতে পেরেছেন। ওইদিন রাত ১টার কিছুক্ষণ পরে তার মাধ্যমেই নৌকাডুবির বিষয়ে জানতে পারে কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই আফগান নাগরিক জরুরি সেবা সংস্থাকে জানিয়েছেন, রাবারের নৌকাটিতে মোট ১৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। উদ্ধারকারী দল আরও একজন জীবিত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে খুঁজে পেয়েছেন। নিজ প্রচেষ্টায় সেলেবি নামের একটি দ্বীপে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তিনি।
উদ্ধার অভিযানে সমুদ্র থেকে ১৪টি মরদেহও উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা। অপর দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হলেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি।
গভর্নরের অফিস আরও জানিয়েছে, নিখোঁজদের খোঁজে কোস্টগার্ডের চারটি নৌকা, একটি বিশেষ ডাইভিং দল এবং একটি হেলিকপ্টার নিয়ে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এজিয়ান সাগর উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপমুখী হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীর কাছে পরিচিত অভিবাসন রুট। বিশেষ করে তুরস্কের উপকূল থেকে যারা ইউরোপে পৌঁছাতে চান, তাদের কাছে এই রুটটি বেশ জনপ্রিয়।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গন্তব্য গ্রিসই ছিল বলে নিশ্চিত হতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, দেশটির কোন দ্বীপে তারা পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে ওই অঞ্চল থেকে খুব কাছেই রয়েছে কোস নামের গ্রিক দ্বীপটি।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষের জন্য গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের একটি প্রধান পথ। অনেকেই তুরস্কের উপকূল থেকে কাছাকাছি গ্রিক দ্বীপগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। যাত্রাগুলো দীর্ঘ না হলে বিপজ্জনক। ফলে, প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে, কর্তৃপক্ষ একটি তুরস্কজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৬৯ জনকে আটক করেছে। তাদের বেশিরভাগই বিদেশি নাগরিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক হওয়া ব্যক্তিরা অভিবাসী পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমএইচআর

