শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, আরও প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৬ এএম

শেয়ার করুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত
ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া ভবনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন গাজার কয়েকজন বাসিন্দা।

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩২৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৯ জনের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আনা হয়েছে। এ সময় আহত সাতজনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ১৯ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে এক হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী পাল্টা বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলাগুলো ছিল হামাসের ফিল্ড কমান্ডার, সশস্ত্র যোদ্ধা, টানেল ও অস্ত্র গুদামকে লক্ষ্য করে।
এটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সহিংসতা বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ১৭ অক্টোবর গাজার জেতুন এলাকায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের মাইক্রোবাসে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলা আঘাত হানলে ওই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হন। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর সেটিই ছিল একক হামলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতির ১৫তম দিনে—২৫ অক্টোবর শনিবার—গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হন।

এছাড়া, ইসরায়েলের নৌবাহিনী ওই দিন গাজা সিটির উপকূলে তিন ফিলিস্তিনি জেলের সব উপকরণ ধ্বংস করে তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকেই ফিলিস্তিনি জেলেদের সাগরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অনেক জেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কেউ কেউ আটক বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের নৌযান জব্দ বা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

মানবিক সংস্থা হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন-এর কর্মকর্তা নিক ওর জানিয়েছেন, গাজায় ধ্বংসের মাত্রা এত ভয়াবহ যে ধ্বংসস্তূপে পড়ে থাকা মারণাস্ত্রের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এসব অপসারণে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের দীর্ঘ দুই বছরের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫১৯ জন, আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৮২ জন।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর