বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালানো ‘ভারত-সমর্থিত প্রক্সি সন্ত্রাসীদের’ লাগাম টেনে ধরার জন্য তালেবান সরকারকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন তিনি।  

শনিবার (১৮ অক্টোবর) অ্যাবোটাবাদের কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (পিএমএ) এক পাসিং আউট প্যারেডে দেওয়া ভাষণে অসীম মুনির বলেছেন, ‘আমি ভারতের সামরিক নেতৃত্বকে পরামর্শ দিচ্ছি এবং দৃঢ়ভাবে সতর্ক করছি যে পারমাণবিক পরিবেশে যুদ্ধের কোনও স্থান নেই। আমরা কখনই আপনাদের (ভারতের) বক্তব্যে ভীত বা বাধ্য হব না এবং কোনও দ্বিধা ছাড়াই সামান্য উস্কানির ক্ষেত্রেও, মাত্রা ছাড়িয়ে সিদ্ধান্তমূলকভাবে জবাব দেব।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘যদি নতুন করে সংঘাত শুরু হয়, তাহলে পাকিস্তান প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রের দূরত্ব হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবস্থার সীমা ভারতের ভৌগোলিক বিস্তারের ভ্রান্ত নিরাপত্তাকে ধ্বংস করবে।’

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘পরবর্তী উত্তেজনা বৃদ্ধির দায়; যা শেষ পর্যন্ত পুরো অঞ্চল ও তার বাইরেও ধ্বংসাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে, তা সম্পূর্ণভাবে ভারতের উপরই বর্তাবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের অত্যন্ত প্রতিশোধমূলক আঘাতের ফলে সামরিক এবং অর্থনৈতিক যে ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করবে, তার প্রভাব বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কল্পনা ও হিসাবের বাইরে চলে যাবে।’

গত মে মাসে ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতে কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ও যোগ্যতার প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। কৌশলগত অন্ধত্ব এবং ভুল পথে পরিচালিত আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা শত্রুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান আবারও বিজয়ী হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ফিল্ড মার্শাল মুনির আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অসাধারণ পেশাদারত্বের সঙ্গে সব হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করেছে। রাফালের মতো উন্নত যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, এস–৪০০ সহ একাধিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এবং বহুমাত্রিক যুদ্ধে ক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দেখিয়েছে। আমাদের সম্মিলিত সাফল্য আমাদের পূর্ববর্তী সাফল্যের গর্বিত ও গৌরবময় স্মৃতিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত এবং শক্তিশালী করেছে। পাকিস্তান আবারও কৌশলগত অন্ধত্ব এবং বিশ্বাসঘাতক শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন কয়েক দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কয়েক দিনের সংঘাতে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ নিহত এবং শত শত আহত হয়েছেন।

সূত্র: ডন, জিও নিউজ


এমএইচআর

 

 

 

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর