রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় সৌদি আরব

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে সৌদি আরব। আগামী মাসে (নভেম্বর) সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের সময় চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সম্ভাব্য এই প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে অবগত কর্মকর্তাদের বরাতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।


বিজ্ঞাপন


ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সের ওয়াশিংটন সফরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’

তবে ফিনান্সিয়াল টাইমস বলছে, আলোচনাধীন সম্ভাব্য এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুরুপ হতে পারে। ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কাতারের ওপর কোনো সশস্ত্র হামলা হলে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। গতমাসে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানোর কয়েকদিন পরই দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ফিনান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ‘আমাদের আঞ্চলিক কৌশলের একটি শক্তিশালী ভিত্তি’। তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে ফিনান্সিয়াল টাইমসের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকার।


বিজ্ঞাপন


প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কাতারের মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টি চেয়ে আসছে সৌদি আরব।

অন্যদিকে গত মাসেই পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ নামে পরিচিত এই সমঝোতাকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি শুধু সামরিক সহযোগিতার নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত বার্তা বহন করে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ঘটলে, তা উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়টি চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। 

সূত্র: রয়টার্স


এমএইচআর

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর