ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ঠেকানোর অধিকার ইসরায়েলের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইতালি বিশ্বাস করে ‘ইসরায়েলের কোনো অধিকার নেই ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ঠেকানোর কিংবা পশ্চিম তীরে নতুন বসতি গড়ে তোলার।’
বিজ্ঞাপন
জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘এই কারণেই আমরা দুই রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ে নিউইয়র্ক ঘোষণা স্বাক্ষর করেছি। ফিলিস্তিন প্রশ্নে এটি ইতালির ঐতিহাসিক অবস্থান, যা কখনো বদলায়নি।’
ইতালির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ফিলিস্তিন স্বীকৃতির আগে দুটি শর্ত অপরিহার্য: সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং হামাসকে ফিলিস্তিনের সরকারে ভূমিকা রাখা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা সংঘাত উসকে দেয়, তাদের পুরস্কৃত করা যায় না।’
ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। প্রায় দুই বছর ধরে চালানো হামলায় ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৮৫
এমন বর্বরতা বন্ধ করতে বিশ্বনেতারা দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদেও কয়েকটি দেশ স্পষ্টভাবে দাবি করেছে, হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তবে এসব আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল তার হামলা অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে গাজার সাধারণ মানুষ ক্রমেই দুর্ভিক্ষ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এ প্রসঙ্গে সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে, আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় অবস্থান নিতে পারে।
মেলোনি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এখন সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এমআর

