শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ এএম

শেয়ার করুন:

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে বড় ধরনের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শহরের রাজপথে হাজারো মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এই বিক্ষোভে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। সবার হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা, নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। তারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা।


বিজ্ঞাপন


বিক্ষোভে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা বলেন, গাজায় ইসরায়েল যেভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে, তা প্রকাশ্য গণহত্যার শামিল। তারা এ সময় কাতারে ইসরায়েলি হামলারও তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা অভিযোগ করেন, ওই হামলার বিষয়ে আগে থেকেই জানত যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি। বরং এই হামলা থেকে চোখ ফিরিয়ে রেখে যুক্তরাষ্ট্র মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও ভণ্ড ও মিথ্যাবাদী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ‘ভণ্ডামির প্রতীক’ হয়ে উঠছে। গাজা ও কাতারে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্যই লজ্জার।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে ছিলেন সরব। তারা ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ ও ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, নিরীহ শিশু ও নারীদের হত্যা করে কোনো রাষ্ট্র সভ্য হতে পারে না। মুসলিম বিশ্ব দীর্ঘদিন চুপ থেকেছে, কিন্তু এখন সময় এসেছে একসঙ্গে রুখে দাঁড়ানোর।

তারা বলেন, গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই রক্তপাত বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য তুলে ধরে বিক্ষোভকারীরা বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। উপত্যকার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত। বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বেঁচে থাকা মানুষগুলোর জীবন আর নিরাপদ নয়।

এই বিক্ষোভ ছিল শুধু পাকিস্তানের নয়, বরং গোটা মুসলিম বিশ্বের গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন— এমন মন্তব্য করেন অংশগ্রহণকারীরা। তারা বলেন, ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো এখন আর কেবল নৈতিক কর্তব্য নয়, এটি মানবতার প্রশ্ন।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর