শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

টেলিফোন-ইন্টারনেট বন্ধ, পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজা সিটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

টেলিফোন-ইন্টারনেট বন্ধ, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজা সিটি

গাজা উপত্যকার বৃহৎ শহর গাজা সিটিতে থেকে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার রাতভর ভারী বিমান হামলার মধ্যেই শহরটির বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলের স্থল সেনারা প্রবেশ করে। শহরজুড়ে ব্যাপক বোমা, গুলিবর্ষণ আর ট্যাঙ্ক হামলা অব্যহত রেখেছে তারা। তাদের হামলায় গাজা সিটির টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শহরটি।

পশ্চিম তীরে অবস্থিত ফিলিস্তিনি টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি জানিয়েছে, উত্তর গাজার প্রধান নেটওয়ার্ক লাইনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চালানোর পর ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে গাজা সিটির বাসিন্দারা বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


বিজ্ঞাপন


গাজা সিটির র্বশেষ পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে বার্তাসংস্থা এপি। তবে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধের্কই গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন। 

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক বা হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি, তবে কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে দখলদার বাহিনীর স্থল অভিযান শুরুর থেকেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা সিটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অনুমান, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ গাজা সিটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি। গাধার গাড়ি, ট্রাক এবং পায়ে হেঁটে বিপুল সংখ্যায় ফিলিস্তিনিদের শহরের দক্ষিণ দিকে ছুটে যেতে দেখা গেছে।

প্রথমদিকে অনেকে বলেছিলেন, তারা শহর ছাড়বেন না। ইসরায়েলের দখল পরিকল্পনার মুখেও টিকে থাকবেন। কিন্তু যখন টানা বিমান হামলায় ভবনগুলো গুঁড়িয়ে যেতে শুরু করল, তখন অনেকেই আর থাকতে পারেননি। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু সেখানেও আশ্রয়ের নিশ্চয়তা নেই। কারণ রাফাহ ও খান ইউনিস থেকে বিতাড়িত মানুষে ভরা দক্ষিণের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতেও হামলা চলছে। সবচেয়ে সংকটময় অবস্থা আল-মাওয়াসি শরণার্থী ক্যাম্পে। সেখানে হামলা চালানোর পর, হতাশ হয়ে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ আবার গাজা সিটির দিকেই ফিরেছেন। তবে উপকূলীয় সড়কে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানুষের গাড়িতেও বোমা ফেলা হয়েছে।

অন্যদিকে বিমান হামলা হয়েছে পূর্ব গাজার আইবাকি মসজিদে। এতে প্রায় ৭৫০ বছর পুরোনো মসজিদটির মিনার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। 

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা

এমএইচআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর