ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জয়কে ‘আসন্ন দিনগুলোর জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও লোকসভার সদস্য শশী থারুর।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করে শশী থারুর লিখেছেন, ‘ভারতের বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি (শিবিরের জয়) হয়ত খুব সামান্য একটি ঘটনা হিসেবে মনে হতে পারে। কিন্তু এটি আসন্ন দিনগুলোর জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।’
বিজ্ঞাপন
কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল (বর্তমানে নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি উভয়ের প্রতিই জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। যারা এই দুই দলের ওপর বিরক্ত, তারা ক্রমবর্ধমানভাবে জামায়াতে ইসলামীর দিকে ঝুঁকছে। এর কারণ এই নয় যে ভোটাররা ধর্মান্ধ বা কট্টরপন্থী ইসলামে বিশ্বাসী বরং জামায়াতে ইসলামী এমন কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত নয়, যা অন্য দুটি মূলধারার দলের ক্ষেত্রে দেখা যায়।’
This may have registered as barely a blip on most Indian minds, but it is a worrying portent of things to come. There is an increasing sense of frustration in Bangladesh with both major parties — the (now banned) Awami League and the Bangladesh National Party. Those who wish “a… pic.twitter.com/RkV3gvF1Jf
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) September 11, 2025
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়বে? নয়াদিল্লিকে কি তাহলে প্রতিবেশী দেশে জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকারের মোকাবিলা করতে হবে?’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র জোটের ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)-সহ মোট ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে ৯টিতে জয়ী হয়েছে। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে শিবির নেতা আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: এএনআই
এমএইচআর

