শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘হারিকেন কিকো’ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দিকে। ঝড়টি এখনো ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার। এরই মধ্যে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, যা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময়সীমা বাড়তেও পারে বা আগেই তুলে নেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (NWS) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত হারিকেন কিকো হোনোলুলুর দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১২০৫ মাইল দূরে অবস্থান করছিল। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ মাইল। এটি ঘণ্টায় ২৫ মাইল গতিতে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে এগোচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঝড়টি রোববারের মধ্যেই হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ড ও মাউই দ্বীপে পৌঁছাতে পারে। আর সোমবার থেকে সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে।
হাওয়াইয়ের অস্থায়ী গভর্নর সিলভিয়া লুক বলেন, ধ্বংসাবশেষ অপসারণ, অবকাঠামো রক্ষা এবং ঝড়-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তিনি বাসিন্দা ও পর্যটকদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করে বলেন, সবাই যেন সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে এবং ঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে ঠান্ডা পানির স্তর থাকায় কিকোর শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। ঝড়টি প্রথমে ক্যাটাগরি-২, পরে ক্যাটাগরি-১ মাত্রায় নামতে পারে। বিগ আইল্যান্ডের স্থলভাগে পৌঁছানোর সময় এটি একটি ‘ট্রপিক্যাল স্টর্ম’-এ পরিণত হতে পারে। তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৯ থেকে ৭৩ মাইলের মধ্যে থাকবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যদিও কিকো কিছুটা দুর্বল হয়ে আসবে, তারপরও এটি বিপজ্জনক হতে পারে। বৃষ্টিপাত, প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি থাকছে। ঝড়ের গতিপথ ও গতিবেগ পর্যবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এইউ

