অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার দু’টি যুদ্ধজাহাজ হঠাৎ করে তাইওয়ান উপকূলে এসে হাজির হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস শনিবার জানিয়েছে, বিদেশি যু্দ্ধজাহাজ দু’টির ওপর সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে দেশটির পিলল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডার ফ্রিগেট ভিল ডি কুইবেক এবং অস্ট্রেলিয়ার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ব্রিসবেন শনিবার সকালে ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ তাইওয়ান প্রণালীর একাংশ অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষেরই মানসিক সমস্যা!
এই প্রণালী চীনা ভূখণ্ড থেকে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে পৃথক করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই তাইওয়ানকে তাদের দেশের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
২০২২ সালের অগস্টে চীনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিজ্ঞাপন
সেসময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চীনা যুদ্ধবিমান। চীন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সেসময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল।
পরে তারা সরে গেলেও গত তিন বছর ধরে চীনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ধারাবাহিক ভাবে আকাশ এবং জলসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তাইওয়ানের।
এর পর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চীন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে চীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক সরকার। ওই সময়ে গৃহযুদ্ধে পরাজিত জাতীয়তাবাদী কুয়োমিনতাং দলের নেতা চিয়াং কাই শেক তার অবশিষ্ট বাহিনী এবং অনুগামীদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের ফরমোসা দ্বীপপুঞ্জে। বর্তমানে যা তাইওয়ান নামে পরিচিত।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করে ফরমোসাকে একটি পৃথক দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন চিয়াং। সরকারি ভাবে তার নামকরণ করা হয় ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ বা আরওসি। কিন্তু চীন কখনও তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতা’ স্বীকার করেনি।
-এমএমএস

