ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে পাঞ্জাব প্রদেশের বন্যা পরিস্থিত সবচেয়ে খারাপ। এই বন্যায় প্রদেশটির ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি গ্রাম ডুবে গেছে। তবে ভয়াবহ এই বন্যাকে ‘আশীর্বাদ’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক অদ্ভুত সমাধান দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, ‘যারা বন্যা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তাদের উচিত বন্যার পানি ঘরে তুলে আনা। এই পানি তাদের বাড়িতে, টবে এবং পাত্রে সংরক্ষণ করা।’
বিজ্ঞাপন
বন্যার পানিকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পানিকে ড্রেনে ফেলে দিচ্ছি, আমাদের এটি সংরক্ষণ কর উচিত।’
আসিফ আরও পরামর্শ দেন, পাকিস্তানের উচিত মেগা প্রকল্পের জন্য ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করার পরিবর্তে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এমন ছোট বাঁধ নির্মাণ করা।
পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারির মতে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে রেকর্ড ভয়াবহ বন্যায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ৮৫৪ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এনডিএমএ সতর্ক করেছে, চেনাব নদীর ক্রমবর্ধমান পানি মঙ্গলবার পাঞ্জাবের মুলতান জেলায় পৌঁছাতে পারে এবং রাভি নদীর প্রবাহের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এছাড়াও পাঞ্জাবের পাঞ্জনাদ নদীর ক্রমবর্ধমান পানিস্তর ৫ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যখন শতদ্রু নদীর পানি সুলেমানকি এবং হেড ইসলামসহ ব্যারাজের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, পাঞ্জাব জুড়ে আরও দুই দিনের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে এবং বন্যার পানি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে, পাকিস্তান জুড়ে কৃষিজমি প্লাবিত হওয়া এবং কাটার জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন ফসল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে খাদ্যসংকট ও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
-এমএইচআর

