মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মার্কিন পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত, দাবি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

মার্কিন পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত, দাবি ট্রাম্পের

রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের চাপে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতি। এনিয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এই শুল্ক সংকট মোকাবিলায় ভারত সম্প্রতি সব ধরনের মার্কিন পণ্য আমদানির ওপর ধার্যকৃত শুল্ক প্রত্যাহোরের প্রস্তাব দিয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

সোমবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘তারা (ভারত) সম্প্রতি মার্কিন পণ্যে ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই প্রস্তাব আরও অনেক বছর আগে দেওয়া উচিত ছিল।’


বিজ্ঞাপন


ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘খুব কম লোকই বোঝে, তারা আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, আমরা তাদের সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্ট। কিন্তু তারা আমাদের পণ্য কিনে না, যা এটি সম্পূর্ণ একতরফা সম্পর্ক, এবং এটি বহু দশক ধরে চলে আসছে। কারণ হল ভারত এখন পর্যন্ত আমাদের ওপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ, এতে ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারি না। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়! এছাড়াও, ভারত তার বেশিরভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কিনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব কম।’

ট্রাম্পের এই দাবির বিষয়ে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস মন্তব্য জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সারা দেয়নি।


বিজ্ঞাপন


এদিকে আবারো ভারত এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘ভারতের ব্রাহ্মণরা দেশটির সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নিজেরা মুনাফা কামাচ্ছে।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নাভারো বলেছেন, ‘মোদি একজন ভাল নেতা। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না যে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের নেতা হয়েও তিনি কেন পুতিন আর শি জিনিপংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন।’

ভারতকে রাশিয়ার ‘মানি লন্ড্রিং সেন্টার’বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, নয়া দিল্লি এমন বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।

ভারতের সাধারণ মানুষের ক্ষতির বিনিময়ে মুনাফা করার জন্য দেশটির অভিজাত শ্রেণিকে অভিযুক্ত করে নাভারো বলেন, ‘আমি ভারতের মানুষকে শুধু এটাই বলতে চাইব যে, যা ঘটনা হচ্ছে, সেগুলো বুঝুন। আপনাদের দেশে ব্রাহ্মণরা সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নিজেরা মুনাফা কামাচ্ছে। আমরা চাই এটা বন্ধ হোক।’ 

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু হওয়ার আগে ভারত মস্কোর কাছ থেকে খুব একটা তেল কিনত না। কিন্তু এখন তারা রাশিয়ার ‘যুদ্ধযন্ত্রে’জ্বালানি জোগাচ্ছে। ভারত আসলে রাশিয়ার জন্য একটি লন্ড্রোম্যাট ছাড়া কিছুই নয়।

নাভারো বলেন, ‘২৫ কিংবা ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণ হচ্ছে ভারত হলো শুল্কের মহারাজা। তাদেরই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শুল্ক হার রয়েছে। তারা আমাদের তাদের দেশে বিক্রি করতে দেয় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমেরিকার শ্রমিকেরা, করদাতারা আর ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ড্রোনে মানুষ মারা যাচ্ছে।’

এমএইচআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর