রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার দায়ে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যেই নিজের অন্যতম ঘনিষ্ঠজন সার্জিও গোরকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প বলেন, ‘সার্জিও আমার খুবই ভালো বন্ধু। বহু বছর ধরে তিনি আমার পাশে আছেন। আমার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় তিনি আমার পক্ষে কাজ করেছেন এবং সফলভাবে রিপাবলিকান পার্টির বৃহত্তম রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমি তাকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সেদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে এমন কাউকে আমার মনোনীত করা প্রয়োজন, যার ওপর আমি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করতে পারি, যিনি আমার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন এবং আমেরিকাকে আবারও মহান করে তুলবেন। সার্জিও একজন অবিশ্বাস্য রাষ্ট্রদূত হবেন।’
এদিকে প্রশ্ন উঠছে, ভারতের জন্য গোরকেই কেন বেছে নিলেন ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে জন্ম ৩৮ বছর বয়সী গোর দ্রুত রক্ষণশীল রাজনীতিতে উত্থান ঘটিয়ে ট্রম্পের অতি ঘনিষ্ঠ ও হোয়াইট হাউজে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। বর্তমানে হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেনশিয়াল কর্মী বিভাগের পরিচালক তিনি। তার দায়িত্ব প্রায় চার হাজার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যাচাই করার, যাতে তারা ট্রাম্পের প্রতি সর্বোচ্চ অনুগত থাকেন। পাশাপাশি ট্রাম্পের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বের আছেন সার্জিও গোর।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, গোরের নয়াদিল্লিতে পা রাখা, দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনের জন্য নয়। বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার খুব ঘনিষ্ঠ একজন দূত পাঠিয়ে মোদি সরকারকে একটি শক্তিশালী সংকেত দিচ্ছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল ক্রয়ের ওপর জরিমানা আরোপের কারণে ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে গোরকে ভারতের রাষ্ট্রদূত করে পাঠিয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছেন, যে ভারতের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তার এজেন্ডা গুরুত্ব পাবে এবং সমস্ত বার্তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকেই আসবে।’
সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
এমএইচআর

