রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ১৪৪ জন, নিখোঁজ আরও বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৬ এএম

শেয়ার করুন:

ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ১৪৪ জন, নিখোঁজ আরও বহু

ইয়েমেনের উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকেই।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের শাকরা উপকূলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আরব সাগরে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়।


বিজ্ঞাপন


নৌকাটিতে মোট ১৫৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন ইথিওপিয়ার নাগরিক।

আইওএম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ১২ জনকে। নিখোঁজ আরও ৭৪ জনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। মৃতদেহগুলো উপকূলজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ভেসে উঠছে।

এপি’র খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খানফার জেলায় ৫৪টি মৃতদেহ উপকূলে পাওয়া গেছে। আরও ১৪টি মরদেহ জিনজিবার শহরের একটি হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আইওএম ইয়েমেন মিশনের প্রধান আবদুসাত্তোর এসোয়েভ বলেন, নৌকাটি একটি বিপজ্জনক রুটে চলছিল। এই রুট সাধারণত মানব পাচারকারীরা ব্যবহার করে। আফ্রিকার হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চল থেকে উপসাগরীয় দেশগুলোর দিকে পাড়ি জমানো অভিবাসীরা প্রায়ই ইয়েমেন হয়ে যাত্রা করেন।

এসোয়েভ বলেন, এই হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখায়, কী ভয়ংকর ঝুঁকির মুখে পড়ে মানুষ যাত্রা করে। পাচারকারীরা তাদের দুঃখ-কষ্ট আর দুর্বলতাকে পুঁজি করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন অভিবাসীরা আইনি পথে যাত্রা করতে পারে। পাচার বন্ধে আইন প্রয়োগে জোর দিতে হবে।

আইওএম জানায়, অভিবাসীদের অনেকে বলছেন, পাচারকারীরা এখন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ আবহাওয়ায়ও সমুদ্রযাত্রা করাচ্ছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য হলো— নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়ানো। এই ঘটনায় সংস্থাটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

আইওএমের হিসেবে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী ইয়েমেনে প্রবেশ করেছেন। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের মার্চে ইয়েমেনের ধুবাব উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে যায়। তখন ১৮০ জনেরও বেশি অভিবাসী নিখোঁজ বা নিহত হন। বেঁচে ফিরেছিলেন কেবল দুজন।

জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেন হয়ে অভিবাসনের রুটটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এবং বিপজ্জনক। তবুও হাজারো মানুষ প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথ বেছে নিচ্ছেন।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর