গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের কাছে রেড ক্রসের মাধ্যমে খাবার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু মানবিক শর্ত পূরণ হলেই কেবল এই সহায়তা কার্যক্রমে সম্মতি দেবে তারা।
রোববার (৩ আগস্ট) হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল যদি স্থায়ীভাবে মানবিক করিডোর চালু করে এবং সহায়তা বিতরণের সময় বিমান হামলা পুরোপুরি বন্ধ রাখে, তবেই তারা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে জিম্মিদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে রাজি হবে।
বিজ্ঞাপন
হামাসের এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এলো, যখন সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করে গোষ্ঠীটি। ভিডিওটিতে এক ইসরায়েলি যুবককে গাজায় একটি সংকীর্ণ ও অন্ধকার সুড়ঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়। শরীর কঙ্কালসার, গায়ে নেই কোনো জামা, মুখে অনাহারের ক্লান্তি। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ায় তার এই শারীরিক অবস্থা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি এবং একাধিক ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া যুবকের নাম এভিয়াতার ডেভিড। বয়স ২৪ বছর। তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নোভা সঙ্গীত উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে হামাসের আকস্মিক হামলার সময় অপহৃত হন। ওই ঘটনায় আরও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ভিডিও প্রকাশের পর শুধু ইসরায়েল নয়, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মানবিক মূল্যবোধ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তারা ঘটনার নিন্দা করে। এমনকি ইসরায়েল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের আহ্বানও জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২০ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। হামাসও এ বিষয়ে সহযোগিতা করেনি।
বিজ্ঞাপন
এইউ

