রাশিয়ার একটি প্রধান তেল শোধনাগার, সামরিক বিমানঘাঁটি এবং ইলেকট্রনিক্স কারখানাসহ বেশকয়েকটি স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নররা।
শনিবার (০২ আগস্ট) টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের আনম্যানড সিস্টেমস ফোর্সেস (ইউএসএফ) জানিয়েছে, রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে রিয়াজানের তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে তাদের ড্রোন। এতে তেল শোধনাগারে ব্যাপক আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
ইউএসএফ আরও জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ভোরোনেজ অঞ্চলে আনানেফটেপ্রডুক্ট তেল সংরক্ষণাগারেও হামলা চালালো হয়েছে।
পৃথকভাবে, ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা— এসবিইউ জানিয়েছে, তাদের ড্রোনগুলো রাশিয়ার প্রিমোরস্কো-আখতারস্ক সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে। এটি ইউক্রেনে হামলায় ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করে রুশ বাহিনী।
এসবিইউ আরও জানিয়েছে, এছাড়াও পেনজার অঞ্চলে একটি কারখানায়ও আঘাত করেছে, কারখানাটি রাশিয়ার সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সে ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ করে বলে জানা গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো শনিবার রাতাভর মোট ৩৩৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যার বেশিরভাগই রোস্তভ এবং ক্রাসনোদার অঞ্চলে ভূপাতিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতভর তাদের ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া ৫৩টি রাশিয়ান ড্রোনের মধ্যে ৪৫টি ভূপাতিত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার অভ্যন্ত কোনও হামলা চালায়নি ইউক্রেন। তবে সম্প্রতি নিয়মিতভাবে রাশিয়ার অভ্যন্তরে- এমনকি রাজধানী মস্কোতেও দূরপাল্লার আত্মঘাতি ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। গত মাসে ইউক্রেনের টানা ড্রোন হামলায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর প্রধান সব বিমানবন্দর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: রয়টার্স, আরটি
এমএইচআর

