মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরের জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টা অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামা নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়মেইল।
বিজ্ঞাপন
দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক বাসরি ওথমান বলেছেন, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ১৬০ কর্মকর্তা জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় যান। সেখানে তারা ৭৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যারমধ্যে ২৫৪ জন স্থানীয় বাসিন্দাও ছিলেন। এছাড়া ১৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালানো হয়।
বাসরি বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও অবস্থান করা, ভিসা আইন লঙ্ঘন এবং পরিচয়পত্র না থাকার অভিযোগে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আটক এড়াতে কিছু অভিবাসী দোকানের কাস্টমার সাজার চেষ্টা করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেছেন। আমাদের কর্মকর্তারা সকাল ১০টা থেকে ওই এলাকায় ছিলেন, যা বিদেশী কর্মী এবং প্রকৃত গ্রাহকদের চিহিৃত করেছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
আটক সবাইকে সেলানগোরের বারানাংয়ের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে পৃথক ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ার কুচিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কুয়ালামপুর থেকে বিমানে করে সারাওয়াকের কুচিংয়ে আসেন তারা। প্রাথমিক যাচাইয়ে দেখা গেছে ইমিগ্রেশন বিভাগের সিস্টেমে তাদের বৈধভাবে প্রবেশের কোনো রেকর্ড নেই।
পরবর্তীতে আরও যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, তাদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন বিভাগের নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে। এরমাধ্যমে মূলত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের বোকা বানাতে চেয়েছিল তারা।
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে- আটক বাংলাদেশিরা দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সারাওয়াকে নেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দালালরা ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত করে নিয়েছে।
এমএইচআর

