অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের আকাশপথে ফেলা ত্রাণ এখন নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) বিমান থেকে ফেলা ইসরায়েলি ত্রাণের প্যাকেটের আঘাতে অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ওই ত্রাণের প্যাকেট তাঁবুর ওপর পড়ে আহত করেন আশ্রয় নেওয়া মানুষদের।
ইসরায়েলের এমন ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতিকে বিপজ্জনক ও প্রতারণামূলক বলছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।
বিজ্ঞাপন
গাজায় খাবার ও পানির তীব্র সংকটে লাখো মানুষ না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জীবন এখন অনাহারে ঝুঁকির মুখে। এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল শুরু করেছে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা।
তবে গাজার স্থানীয় সূত্র আল-জাজিরাকে জানায়, অনেক ত্রাণ পড়ে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে। দক্ষিণ গাজার আল-রশিদ রোড এলাকায় ও উত্তর গাজার ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানসংলগ্ন স্থানে পড়ে এই প্যাকেটগুলো।
একইসঙ্গে ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা হামলা বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি, ত্রাণ প্রবেশে নতুন করিডোরও চালু করেছে। এ উদ্যোগে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও বিমান থেকে ত্রাণ ফেলতে শুরু করেছে।
তবে হামাস বলছে, এটি ইসরায়েলের প্রতীকী উদ্যোগ। শুধু আন্তর্জাতিক মহলের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা। বাস্তবে এতে ফিলিস্তিনিদের কষ্ট কমছে না বরং বাড়ছে ঝুঁকি।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর নেতারাও একমত—আকাশপথে ত্রাণ ফেলা কার্যকর কোনো সমাধান নয়।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির পরিচালক কিয়ারান ডনেলি বলেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা কোনোভাবেই যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য আনতে পারে, না গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, এটি ব্যয়বহুল, অকার্যকর এবং ভুল হলে অনাহারে থাকা মানুষদের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
আকাশপথে ত্রাণ নয়, গাজার জন্য জরুরি প্রয়োজন স্থলপথে নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিয়মিত মানবিক সহায়তা—এমনটাই বলছেন মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তারা। সূত্র: আল-জাজিরা
এইউ

