রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এই নাটকে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সসহ ২৫ দেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি চাওয়া পশ্চিমাদের ভণ্ডামি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি চাওয়া পশ্চিমাদের ভণ্ডামি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পশ্চিমারা চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসলেও গোপনে অস্ত্র পাঠিয়ে ইহুদিবাদীদের যুদ্ধের রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে তারাই।

অনেকেই এটাকে পশ্চিমাদের ভণ্ডামি বলে আখ্যায়ীত করছেন। সোমবার (২১ জুলাই) হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বের ২৫টি দেশ। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বে যৌথ এই বিবৃতিতে দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজাবাসীর দুর্ভোগ “নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে” এবং এই যুদ্ধ এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার দেওয়া ওই বিবৃতিটি মূলত এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন গাজায় যুদ্ধ চলছে প্রায় ২১ মাস ধরে। এতে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির ওপর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। যুদ্ধ এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। এছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি এবং জরুরি সহায়তা প্রবাহে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে যুদ্ধের সময় মানবিক সহায়তা ধীর গতিতে সরবরাহ, শিশু ও সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং খাদ্য-পানির মতো ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘অমানবিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

জাতিসংঘ ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মে মাসের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল মে মাসের শেষের দিকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা পূর্ণ অবরোধ কিছুটা শিথিল করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল যে কায়দায় সহায়তা সরবরাহ করছে, তা বিপজ্জনক। এটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে এবং গাজাবাসীর মানব মর্যাদাকে ধ্বংস করছে। 

বেসামরিক জনগণের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না দেওয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আগে শুধু ইউরোপের দেশগুলোই যুদ্ধবিরতি 'নাটক' নিয়ে সরব ছিল, এখন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, এমনকি জাপানের মতো দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও লোক দেখানো এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে।

বিবৃতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক সহায়তার কথা বলা হয়।

অবশ্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও এখনো কোনো কার্যকর সমঝোতা হয়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একাধিকবার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালু রাখলেই হামাসকে চাপ দেওয়া যাবে।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর