২০০৬ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে ট্রেনে বোমা হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। ২০১৫ সালে দেশটির একটি নিম্ন আদালত এই ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে, তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।
সোমবার (২১ জুলাই) বিচারপতি অনিল কিলোর এবং বিচারপতি শ্যাম চন্দকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করে রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ হয়েছে। তাদের সাক্ষ্য-প্রমাণে এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে অভিযুক্তরা অপরাধ করেছে। তাই তাদের দোষী সাব্যস্ততা বাতিল করা হলো। একই সঙ্গে অভিযুক্তরা যদি অন্য কোনো মামলায় জড়িত না থাকে তবে তাদের জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হলো।
আদালত আরও বলেছে, তদন্তের সময় উদ্ধার করা বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং আলামতগুলো বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে মনে হচ্ছে। এমনকি বিস্ফোরণে কী ধরণের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল তা প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন।
আদালত সাক্ষীদের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বিস্ফোরণের ১০০ দিন পরেও, কোনো ব্যক্তির পক্ষে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মনে রাখা সম্ভব নয়।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বাইয়ের পৃথক লোকাল ট্রেনে ১১ মিনিটের মধ্যে সাতটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমটি ঘটে সন্ধ্যা ৬.২৪ মিনিটে এবং শেষটি ঘটে সন্ধ্যা ৬.৩৫ মিনিটে। এসব বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৮৯ জন, আহত হন আরও আট শতাধিক মানুষ।
বিজ্ঞাপন
এ মামলায় ২০১৫ সালে মহারাষ্ট্রের সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনের বিশেষ আদালত ফয়সাল শেখ, আসিফ খান, কামাল আনসারি, এহতেশাম সিদ্দিকী এবং নাভিদ খানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এছাড়া মোহাম্মদ সাজিদ আনসারি, মোহাম্মদ আলী, ডা. তানভীর আনসারি, মাজিদ শফি, মুজ্জাম্মিল শেখ, সোহেল শেখ এবং জমির শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বোম্বে হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ১৮ বছর জেল খেটে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তারা।
সূত্র: এনডিটিভি
-এমএইচআর

