সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় একমাত্র সমাধান হল তাকে (আল-শারা) নির্মূল করা’।
বুধবার (১৬ জুলাই) সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
বেন-গভির আরও বলেন, ‘সিরিয়ার ভয়াবহ চিত্রগুলো একটা জিনিস প্রমাণ করে: যে এক সময় জিহাদি ছিল, সে সবসময় জিহাদি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি দ্রুজ নাগরিকদের ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বাগত জানাতে ভালোবাসি এবং তাদের উষ্ণ আলিঙ্গন করব। আমি তাদের বলি: আমাদের অবশ্যই সাপের মাথা কেটে ফেলতে হবে।’
এদিকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদা প্রদেশে সশস্ত্র দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতি যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সরকারি বাহিনীর হসক্ষেপের পর বুধবার রাজধানী দামেস্কজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
দামেস্কে অবস্থিত সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সদর দফতর, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এসব হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও জানিয়েছে, এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সিরিয়ায় দ্রুজদের রক্ষায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মূলত, গত রোববার দেশটির রাজধানী দামেস্কের একটি সড়কে দ্রুজ গোষ্ঠীর এক সবজি বিক্রেতা অপহরণের শিকার হন। এর পরপরই সেখানে পাল্টা অপহরণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অপহৃতদের মুক্তি দেওয়া হলেও সোমবার সুইদা শহরের বাইরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ।
এদিকে সংঘর্ষ ঠেকাতে শহরটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে আসেন। তবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে শহরটিতে প্রবেশ করার পর তাদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান, যার ফলে ১৯৬৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। জানুয়ারিতে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়। তবে আহমেদ আল-শারার ইসলামপন্থী বাহিনী সাতমাসেও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ওপর এখনও নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।
সূত্র: আলজাজিরা
এমএইচআর

