যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব (মানবসম্পদ এবং ব্যবস্থাপনা) মাইকেল জে রিগাস গত বৃহস্পতিবার গণছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
তার পরের দিন শুক্রবার থেকেই কর্মীছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল আমেরিকায়।
বিজ্ঞাপন
আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, এবার গণছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একসঙ্গে ১,৩৫০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কেন কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে, সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার সিভিল সার্ভিস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে কোপ পড়েছে। একটি ‘নোটে’ চাকরি গিয়েছে তাদের।
বিজ্ঞাপন
সেই ‘নোটে’ বলা হয়েছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমকে সহজতর করতে এই সিদ্ধান্ত।
দফতরের যে সব বিভাগের প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলক কম, সেই সব বিভাগের কর্মীদের উপর কোপ পড়বে বলে আশঙ্কা।
গত বৃহস্পতিবার গণছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব (মানবসম্পদ এবং ব্যবস্থাপনা) মাইকেল জে রিগাস। তার পরের দিন থেকেই কর্মীছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল আমেরিকায়।
দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রশাসনিক ব্যয় সঙ্কোচের কথা বলছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে তার প্রশাসন একাধিক দফতর থেকে বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
অবশ্য একটি নিম্ন আদালতের রায়ে গণছাঁটাই প্রক্রিয়া কিছু দিনের জন্য থমকে গিয়েছিল। সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে জানিয়েছে, এই বিষয়ে আপাতত এগোতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঘটনাচক্রে, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ আসার পরেই গণছাঁটাই শুরু করল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো অবশ্য জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ব্যয় কমানোর জন্য নয়, আমলাতান্ত্রিক ফাঁস কমাতেই গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছেন তারা।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে যে ১৮ হাজার কর্মী কাজ করেন, তাদের মধ্যে তিন হাজার জনকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
-এমএমএস

