রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চীনের সহায়তা নেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চীনের সহায়তা নেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে চীন ও তুরস্ক— ভারতীয় উপ-সেনাপ্রধানের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। ভারতের এ দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং তথ্যগতভাবে ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ভারতের উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং দাবি করেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ‘এক নয়, তিন প্রতিপক্ষের’ বিরুদ্ধে ভারতকে লড়তে হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ হিসাবে পাকিস্তান ‘দৃশ্যমান’ হলেও নেপথ্যে থেকে চীন এবং তুরস্ক তাদের সাহায্য করেছে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানকে চীন সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। কারণ গত পাঁচ বছরের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান যে সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে, তার ৮১ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। 

রাহুল আর সিংয়ের দাবি, চীন পাকিস্তানকে শুধু সামরিক সরঞ্জামই দেয়নি, সেগুলোর কার্যকারিতা যাচাইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার (০৭ জুলাই) ইসলামাবাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনডিইউ) বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন সেনাপ্রধান মুনির।

 

তিনি বলেন, অপারেশন সিন্দুরের সময় ভারতের সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ‘অক্ষমতা’ এবং পরবর্তী দাবিগুলো ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার অভাব’  ইঙ্গিত করে।

সেনাপ্রধান মুনির বলেন, ‘পাকিস্তানের সফল অপারেশন বুনিয়ান মারসুসে বহিরাগত সহায়তা সম্পর্কিত দাবি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং তথ্যগতভাবে ভুল। তারা (ভারত) আমোদের কয়েক দশকের কৌশলগত বিচক্ষণতার মাধ্যমে বিকশিত স্থানীয় সক্ষমতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিস্থাপকতা স্বীকার করতে চায় না।’

ভারতকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো যুদ্ধ মিডিয়ার বাগাড়ম্বর, আমদানি করা অভিনব সরঞ্জাম বা রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে জেতা যায় না, বরং বিশ্বাস, পেশাগত দক্ষতা, কর্মক্ষম স্পষ্টতা, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি এবং জাতীয় সংকল্পের মাধ্যমে জিততে হয়।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান সতর্ক করে বলেন, যেকোনো দুঃসাহসিক কাজ বা জাতীয় সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টার ‘দ্রুত এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ জানানো হবে।

সূত্র: ডন

-এমএইচআর

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর