গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং অবাধে ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, শনিবার (০৫ জুলাই) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই এই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শেষ করার সর্বোত্তম উপায় বলে মত দিয়েছেন এই দুই নেতা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা এই (দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান) লক্ষ্যে সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি। আপাতত, ইসরায়েলকে আগে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন এবং ইরানের ওপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার নিন্দাও জানান।
তিনি বলেন, যদি আপনি ইরানকে না বলেন এবং ইসরায়েলকে হ্যাঁ বলেন, তাহলে সমস্যা সমাধান হবে না। আমাদের এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়াও ইরানকে তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে এবং জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে পুনরায় সর্ম্পক স্থাপন করার জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (৪ জুলাই) হামাস মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক জবাব’ দিয়েছে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। এই চুক্তিতে জিম্মিদের মুক্তি এবং সংঘাত অবসানের বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা কাতার ও মিশরকে তাদের জবাব দিয়েছেন এবং এটি চুক্তি অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এই যুদ্ধবিরতির কাঠামোর ভিত্তিতে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ৬০ দিনের একটি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ইসরায়েল ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে এবং এই সময়ে সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সূত্র: আলজাজিরা
-এমএইচআর