মালয়েশিয়ায় উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বাংলাদেশিরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তহবিলে অর্থ পাঠাতেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দেশটি পুলিশ। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (৩০ জুন) টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেছেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। যারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতের শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়া এসেছিলো।
বিজ্ঞাপন
গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে তিনি জানান, চক্রটি অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিলো এবং ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করত।
তিনি আরও বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের সেলগুলোকে অর্থ পাঠাত। তবে কী পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান।
মালয়েশিয়া পুলিশপ্রধান বলেন, আটক ৩৬ জনের মধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জাড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ার শাহ আলম ও জোহর বারু সেশন কোর্টে মামলা করা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ১৬ জন এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন এই চক্রে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে জানিয়ে মালয়েশিয়া আইজিপি বলেন, শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
বিজ্ঞাপন
খালিদ ইসমাইল আরও জানান, যাদের সংশ্লিষ্টতা কম, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যাদের সম্পৃক্ততা বেশি, তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জানান, ২৪ এপ্রিল থেকে সেলাঙ্গর এবং জোহর প্রদেশে তিনটি অভিযান চালিয়ে দেশটির পুলিশ ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা আইএস-এর মতাদর্শ ও সহিংস চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়ে একটি চরমপন্থি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছিলেন।
এমএইচআর